AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

উপুড় হয়ে শোয়া নিয়ে প্রিয়নবী সা. যা বলেছেন


Ekushey Sangbad
ধর্ম ডেস্ক
১০:৫০ এএম, ১ জানুয়ারি, ২০২৪
উপুড় হয়ে শোয়া নিয়ে প্রিয়নবী সা. যা বলেছেন

মানুষের আরামের জন্য আল্লাহ তায়ালা ঘুম দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘আর তিনিই তোমাদের জন্য রাতকে আবরণ ও নিদ্রাকে আরামপ্রদ করেছেন এবং দিনকে করেছেন জাগ্রত থাকার সময়।’ ( সূরা আল-ফুরকান, (২৫), আয়াত, ৪৭)

অপর এক আয়াতে বর্ণিত হয়েছে,  ‘আর তিনি রাতকে মানুষের প্রশান্তির উপায় হিসেবে সৃষ্টি করেছেন’। (সূরা আনআম, আয়াত, ৯৬) সূরা নাবায় আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,  ‘আর তোমাদের ঘুমকে ক্লান্তি ঘুচানোর উপায় বানিয়েছি’। (সূরা নাবা, আয়াত, ৯)

হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাড়াতাড়ি ঘুমাতে বলেছেন। তাড়াতাড়ি ঘুমানো এবং তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠা সুস্বাস্থ্য, সম্পদ আর জ্ঞান লাভের জন্য জরুরি। বুখারি শরিফের হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এশার নামাজ এক-তৃতীয়াংশ রাত পরিমাণ দেরি করে পড়া পছন্দ করতেন, আর এশার আগে ঘুমানো এবং এশার পর না ঘুমিয়ে গল্পগুজব করা অপছন্দ করতেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস, ৫৯৯)

ঘুমানোর সময় আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপুর শুতে নিষেধ করেছেন। এর কারণ হিসেবে হাদিস শরিফে দুটি বিষয়কে চিহ্নিত করা হয়েছে। এক. মহান আল্লাহ এভাবে শোয়া পছন্দ করেন না। দুই. এটি জাহান্নামিদের শোয়া।

জাহান্নামিদের উপুড় করেই জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। ইবনে তিখফা আল-গিফারি  (রহ.) থেকে বর্ণিত, তার পিতা তাকে অবহিত করেন যে তিনি ছিলেন আসহাবে সুফফার সদস্য। তিনি বলেন, একদা শেষ রাতে আমি মসজিদে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলাম। আমি উপুড় হয়ে ঘুমে বিভোর অবস্থায় একজন আগন্তুক আমার নিকট এলেন। তিনি আমাকে তাঁর পায়ের সাহায্যে নাড়া দিয়ে বলেন, ওঠো! এই উপুড় হয়ে শুলে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন। আমি মাথা তুলে দেখি যে রাসুল (সা.) আমার শিয়রে দাঁড়িয়ে। (আদবুল মুফরাদ, হাদিস, ১১৯৯)

অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, আবু জর (রা.) বলেন, আমি উপুড় হয়ে শুয়ে থাকা অবস্থায় নবী (সা.) আমার পাশ দিয়ে গেলেন। তিনি আমাকে তার পা দ্বারা খোঁচা মেরে বলেন, হে জুনাইদিব! এটা তো জাহান্নামের শয়ন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৭২৪)

রাসুল (সা.)-এর বাণী—‘এটা তো জাহান্নামের শয়ন’—এর পক্ষে পবিত্র কোরআনের আয়াতও পাওয়া যায়। পবিত্র কোরআনে জাহান্নামিদের প্রতি ইরশাদ হয়েছে, ‘যেদিন তাদের উপুড় করে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে জাহান্নামের দিকে; সেদিন বলা হবে, জাহান্নামের যন্ত্রণা আস্বাদন করো।’ (সুরা কমার, আয়াত, ৪৮)

একুশে সংবাদ/এস কে 

Link copied!