বাঙালির প্রাণের উৎসব, বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে যুক্তরাজ্যের ওয়েলসের রাজধানী কার্ডিফে অনুষ্ঠিত হলো বর্ণাঢ্য “বাংলার মেলা”। উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাঙালিরা অংশ নিয়ে দিনব্যাপী আয়োজনটিকে প্রাণবন্ত করে তোলেন।
“বাংলার মেলা” আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের সামনে বাঙালির কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরা এবং কমিউনিটির মধ্যে পারস্পরিক বন্ধন আরও সুদৃঢ় করা। এ উপলক্ষে আয়োজিত মেলায় ছিল দেশীয় খাবার, হস্তশিল্প, কাপড়, আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন পণ্যের সমাহার। দেশীয় সাজে সজ্জিত প্রতিটি স্টলই যেন হয়ে উঠেছিল এক টুকরো বাংলাদেশ।
প্রতিবছরের মতো এবারও “বাংলার মেলা” আয়োজন করে ওয়েলস বাংলাদেশ ইয়ুথ সোসাইটি, বিকিটি লিমিটেড ও হোডেক লিমিটেড। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান এবং ওয়েলস বাংলা নিউজের সম্পাদক, কমিউনিটি লিডার মোহাম্মদ মকিস মনসুর।
মেলার উদ্বোধন করেন লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট, এটিএন বাংলা ইউকের হেড অব নিউজ, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক সাঈম চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কার্ডিফ কাউন্টি কাউন্সিলের সাবেক লর্ড মেয়র ড. বাবলিন মল্লিক, প্রাক্তন ডেপুটি লর্ড মেয়র কাউন্সিলর আলী আহমেদ, বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন কার্ডিফ-এর সভাপতি আব্দুল হান্নান শহীদুল্লাহ, বিকিটি লিমিটেডের ডিরেক্টর নাজমুল হোসেইন ও সামিউল ইসলাম, ওয়েলস বাংলাদেশ উইমেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাহমিনা খানসহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কমিউনিটি ও সাংস্কৃতিক সংগঠক গোলাম মর্তুজা, জেসমিন জাহেদ, সেলিম আহমদ, ইউসুফ খান জিমি, আবুল কালাম মুমিন, মুজিবুর রহমান মুজিব, সৈয়দ ইকবাল আহমেদ, বদরুল হক মনসুর, ইব্রাহীম শোভন, ফয়সল আহমেদ, সাজেল আহমেদ, রিপন মিয়া, কামাল আহমদ, জাভেদ আহমেদ প্রমুখ।
বাংলার মেলার অন্যতম আয়োজক সাংবাদিক রাকিব খান বলেন, “সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। প্রবাসে এমন একটি আয়োজন সফলভাবে করতে পারাটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।” অতিথিরা আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এ মেলা আয়োজনের আহ্বান জানান।
পহেলা বৈশাখ—বাংলা সনের প্রথম দিন। এটি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। উৎসবটি বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা ও বিশ্বের নানা প্রান্তে বসবাসরত বাঙালিরা উদযাপন করেন। বাংলা নববর্ষের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত বাংলার কৃষিভিত্তিক সমাজ ও লোকজ সংস্কৃতি। এই উৎসব বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীক, যা জাতীয় ঐক্য ও সংস্কৃতি চর্চার মাইলফলক।
একুশে সংবাদ//কাও. যু.প্র//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :