AB Bank
  • ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

জীবিত থাকলে গোপালগঞ্জের প্রতিটি গ্রামে কর্মসূচি করবো: নাহিদ ইসলাম


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০২:১৩ পিএম, ১৭ জুলাই, ২০২৫

জীবিত থাকলে গোপালগঞ্জের প্রতিটি গ্রামে কর্মসূচি করবো: নাহিদ ইসলাম

গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে আবারও কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে নিজের ফেসবুক পোস্টে নাহিদ লেখেন, “আমি বেঁচে থাকলে গোপালগঞ্জের প্রতিটি উপজেলা, প্রতিটি গ্রামে কর্মসূচি চালিয়ে যাবো। মুজিববাদ প্রতিরোধের আন্দোলন থামবে না।”

তিনি বলেন, “গোপালগঞ্জ নিয়ে আমাদের অবস্থান আগেই স্পষ্ট করেছি। বাংলাদেশের প্রতি আমাদের যে রাজনৈতিক অঙ্গীকার, গোপালগঞ্জের ক্ষেত্রেও তা একই। গোপালগঞ্জের মানুষের ওপর রাজনৈতিক বৈষম্যের আমরা বিরোধিতা করি। এই জেলা ও পুরো দেশকে মুজিববাদী ফ্যাসিবাদ ও সন্ত্রাস থেকে মুক্ত করবো। আওয়ামী লীগ যুগের পর যুগ গোপালগঞ্জের সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ বিকৃত করেছে এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি অবিচার করেছে। আমরা বলেছি, এই পরিস্থিতি পাল্টাবো।”

নাহিদ ইসলামের দাবি, “আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি নিয়েই গিয়েছিলাম, কোনো যুদ্ধের জন্য নয়। কিন্তু মুজিববাদী সন্ত্রাসীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে, ঠিক যেভাবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সব সময় দেশে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টা চালায়।”

তিনি আরও বলেন, “৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর কেউ কেউ ‘পরিমার্জিত আওয়ামী লীগ’ আনার স্বপ্ন দেখছিল। তাদের মনে রাখা উচিত, আওয়ামী লীগ আর কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এটি এখন একটি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী। আমরা বহুবার বলেছি—আইন ও বিচারিক প্রক্রিয়ায় জুলাই মাসের হত্যাযজ্ঞের বিচার চাই। কিন্তু ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ব্যাপকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়নি। যারা ধরা পড়েছে তারাও জামিনে বেরিয়ে যাচ্ছে কিংবা পালিয়ে যাচ্ছে।”

নাহিদের অভিযোগ, “প্রশাসনের ভেতরে এখনো ফ্যাসিবাদপন্থী ও দুর্নীতিগ্রস্ত একটি অংশ রয়ে গেছে, যাদের টাকা দিয়ে কেনা যায়। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সারা দেশ থেকে গোপালগঞ্জে সমবেত হয়েছিল। প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীর অনুমোদন নিয়েই আমরা গোপালগঞ্জে প্রবেশ করেছি। আমরা পদযাত্রা করিনি, শুধুমাত্র পথসভা করেছি। বিভিন্ন উপজেলা থেকে আমাদের লোকজনকে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে, বাস আটকে দেওয়া হয়েছে। এরপরও আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ করেছি। ফেরার পথে আমাদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালানো হয়।”

তিনি বলেন, “আমরা শুনেছি অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। আমরা কখনোই বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের পক্ষে নই। অপরাধীদের অবশ্যই বিচারিক প্রক্রিয়ার আওতায় আনতে হবে। প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থা যদি দায়িত্বশীলভাবে ব্যবস্থা নিত, এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না। এর দায়ভার সরকার ও প্রশাসনের।”

নাহিদ আরও জানান, “আমরা সুষ্ঠু তদন্ত ও হামলাকারীদের বিচার দাবি করছি। যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। শুধু গোপালগঞ্জ নয়, দেশজুড়ে এ অভিযান চালাতে হবে।”

তিনি বলেন, “আমরা বলেছিলাম গোপালগঞ্জ যাবো, আমরা গেছি। শহীদদের রক্তের শপথ নিয়ে বলছি—মুজিববাদ আর গোপালগঞ্জ বা বাংলাদেশে দাঁড়াতে পারবে না। আবারও গোপালগঞ্জে যাবো। আমি বেঁচে থাকলে প্রতিটি উপজেলা, প্রতিটি গ্রামে কর্মসূচি চলবে। গোপালগঞ্জের ঘরে ঘরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পতাকা উড়বে। গোপালগঞ্জ মুজিববাদীদের হবে না, হবে বাংলাদেশের পক্ষের মানুষের।”

নাহিদ বলেন, “শহীদ বাবু মোল্লা, শহীদ রথীন বিশ্বাসের গোপালগঞ্জকে আমরা পুনরুদ্ধার করবো। মকসুদপুর, কোটালীপাড়ায় আমাদের শহীদদের কবর রয়েছে। এই মাটি মুজিববাদীদের হতে দেবো না। বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটিও তাদের হাতে থাকবে না, ইনশাআল্লাহ।”

শেষে তিনি বলেন, “গতকালের হামলার প্রতিবাদে যারা রাস্তায় নেমেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। ফরিদপুরের পদযাত্রায় আবার দেখা হবে।”

 

একুশে সংবাদ/চ.ট/এ.জে

Link copied!