AB Bank
  • ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

রাজনৈতিককর্মী আর সন্ত্রাসী গুলিয়ে ফেলেছেন বিএনপি নেতারা: তথ্যমন্ত্রী


Ekushey Sangbad
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
০৬:৫৫ পিএম, ২৬ জুন, ২০২৩
রাজনৈতিককর্মী আর সন্ত্রাসী গুলিয়ে ফেলেছেন বিএনপি নেতারা: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি নেতাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হচ্ছে যে তারা রাজনৈতিককর্মী আর সন্ত্রাসী গুলিয়ে ফেলেছেন। সন্ত্রাসী কর্মকান্ড আর রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্যে পার্থক্য আছে, কিন্তু বিএনপির কর্মসূচি হচ্ছে সন্ত্রাসনির্ভর, তারা রাজনীতির নামে সন্ত্রাস করেন। এখানেই হচ্ছে বিপত্তি।’

 

সোমবার (২৬ জুন) সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) প্রকাশিত ড. কামরুল হাসান সম্পাদিত ‘সংবাদপত্রে নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ ও গ্রন্থকার মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।

 

সাংবাদিকরা বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য ‘সরকারের অত্যাচার-নির্যাতনের কারণে জাতির সব অর্জন অগ্রগতি হারিয়ে যেতে বসেছে’ নিয়ে প্রশ্ন করলে ড. হাছান বলেন, ‘এর অর্থ গত সাড়ে ১৪ বছরে জাতির অনেক অর্জন আছে এটা মির্জা ফখরুল সাহেব স্বীকার করে নিয়েছেন। সরকার কারো ওপর জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে না। কিন্তু যারা আগুন সন্ত্রাস চালিয়েছে, পুলিশের ওপর হামলা করেছে এবং এখনও করছে, মির্জা ফখরুল সাহেবদের নেতৃত্বে যারা এখনো রাস্তায় গাড়ি-ঘোড়া ভাংচুর করছে, তাদের বিরুদ্ধে তো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’

 

রুহুল কবির রিজভীর মন্তব্য ‘পদত্যাগের দাবিতে মানুষ রাস্তায় নেমেছে দেখে সরকারের সিংহাসন টলমল করছে’ এর জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘রিজভী সাহেব কি এটা জেগে বলেছেন না ঘুমিয়ে বলেছেন এবং তার মানসিক স্বাস্থ্য কেমন -সেটি আমার প্রশ্ন। দেশে কোথাও তারা তাদের কর্মীদেরও নামাতে পারেনি, সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা। আসলে দুশ’-চারশ’ মানুষ নিয়ে তারা মিটিং করতে অভ্যস্ত এখন দু’-চার হাজার দেখে মাথাটা নষ্ট হয়ে গেছে, এই হচ্ছে সমস্যা।’

 

চাঁদাবাজি, ব্ল্যাকমেইলসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত অনিবন্ধিত আইপি এবং ক্যাবল টিভি’র বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসেবে সম্প্রতি চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসন চারটি অবৈধ আইপি টিভি’র অফিস সিলগালা করা প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার অনুমোদিত বৈধ টেলিভিশন চ্যানেলগুলো প্রতি মাসে শুধু বিটিআরসিকে ২০ লাখ টাকার বেশি ফি দেয়। এসব টিভিতে অনেক সাংবাদিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। ইতিমধ্যে ৩৬টি বেসরকারি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারে আছে, আরো আসবে। কিন্তু কোনো অনুষ্ঠানে গেলেই দেখা যায় যে, এই টিভি চ্যানেলের মতো একই ধরনের বুম আর ছোট একটা ক্যামেরা নিয়ে হাজির হয় অননুমোদিত নানা আইপি টিভি। এদের কোনো অনুমোদন নাই, এরা চাঁদাবাজির সাথে যুক্ত।’

 

হাছান মাহমুদ জানান, ‘সম্প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী আইপি টিভি বা ইউটিউব চ্যানেলের নামে সংবাদ বুলেটিন বা অন্য কৌশল অবলম্বন করে সংবাদ প্রচার করা যায় না, তারপরও তারা এই কাজটি করে। এবং সেটি করতে গিয়ে অমুকের পক্ষে সংবাদ প্রকাশ করার জন্য চাঁদা নেয়, বিপক্ষে করার জন্যও হুমকি দিয়ে চাঁদা নেয়। বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় সাংবাদিক নিয়োগ দেওয়ার জন্য টাকা নেয়, প্রতি মাসেও প্রতিনিধিদের কাছে উল্টো টাকা দাবি করে। এই কাজগুলো সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় হচ্ছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনা করার জন্য এবং যাদের বৈধ লাইসেন্স নেই যারা চাঁদাবাজি এবং অন্যান্য অপকর্মের সাথে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।’

 

রোববার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সেই অভিযান পরিচালনা করেছে এবং কয়েকটি আইপি টিভির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে, তাদের অফিসও সিলগালা করে দিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সেটি করতে গিয়ে আবার ‘কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে এসেছে’ অর্থাৎ সেখানে তাদের কার্যালয়ের মধ্যে অবৈধ ও ভেজাল নানা ধরণের খাদ্যসামগ্রী পাওয়া গেছে। অন্যান্য জেলাতেও খুব সহসা এ ধরণের অভিযান পরিচালিত হবে।’

 

এ দিন বাজেট পাস উপলক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনকল্যাণেই উচ্চাভিলাষী বাজেট দেয় ও তা বাস্তবায়ন করে।

 

তিনি বলেন, ‘প্রতিবারই বাজেট পেশ ও পাস হওয়ার পর সিপিডি, বিএনপি, টিআইবি এবং আরো কিছু সংগঠন যে নানা ধরনের বক্তব্য দেয়, তার মধ্যে একটি বক্তব্য সবসময় থাকে যে, “এই বাজেট উচ্চাভিলাষী, বাস্তবায়নযোগ্য না এবং এটি আম জনতার কোনো কাজে আসবে না”। অথচ গত ১৪ বছরে বাজেট বাস্তবায়নের গড় হার হচ্ছে ৯৭ শতাংশ। করোনা না থাকলে এই হার হতো ৯৮ শতাংশের কাছাকাছি। অর্থাৎ আমাদের বাজেট ঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। আবার এটি যে দরিদ্র মানুষের কাজে লেগেছে তার প্রমাণ হচ্ছে দারিদ্র্য ৪১ থেকে নেমে ১৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এবং এটি যে আম জনতার কাজেও লেগেছে সেটির প্রমাণ হচ্ছে আমাদের মাথাপিছু আয় ৬শ’ ডলার থেকে ২৮শ’ ডলারে উন্নীত হয়েছে এবং মানুষের জীবন মান উন্নত হয়েছে।’

 

মন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, বিএনপি যখন শেষবার ক্ষমতায় ছিল ২০০৫-৬ সালে, তখন বাজেট ছিল ৬১ হাজার কোটি টাকা। আর এবার বাজেট পাস হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭শ’ ৮৫ কোটি টাকা। এটি তখনকার তুলনায় সাড়ে ১১গুণ বেশি এবং দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট। বিশ্বমন্দা পরিস্থিতির মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ প্রেক্ষাপটে বাজেট প্রণয়ন করার বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেও আমাদের বাজেটের আয়তন গত বছরের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে, জানান তিনি।

 

এবারও যে বাজেট পেশ করা হয়েছে সেটি বাস্তবায়িত হবে প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের আগে ৬ মাস পাবো। জনগণ আমাদেরকে আবারো নির্বাচিত করলে পুরো বছর আমরা পাবো। সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই অন্যান্যবারের মতো বাজেট বাস্তবায়িত হবে। দেশ আরো এগিয়ে যাবে।’

 

একুশে সংবাদ/এসএপি

Link copied!