বুধবার একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে মমতা ঘোষণা করেছিলেন খেলা হবে দিবস উদযাপিত হবে ১৬ অগাস্ট। ওই দিনটি বাছাই করা নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত। কেন ১৬ অগাস্ট খেলা দিবস? বৃহস্পতিবার তার ব্যাখ্যা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান,'১৬ অগাস্ট খেলা দিবস হিসেবে পালন করব। কেন এই দিনটাকে বাছলাম? ক্রিকেটের একটা ঘটনা ঘটেছিল সাতের দশকে। একটা ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে অনেকে আহত হয়েছিল, মারাও গিয়েছিল। আগে কলকাতা ময়দানের অনেক ক্লাবে এই দিনটিকে পালন করত। এখন আর এটা পালন হয় না। অনেকেই ভুলে গিয়েছেন।'
ওই দিনটির আলাদা তাৎপর্য রয়েছে বলেও মনে করেন মমতা । তিনি বলেন,'১৬ অগাস্ট, ১৫ অগাস্টের পরের দিন। আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের অধিকার ও স্বাধীনতা যাতে অক্ষুন্ন থাকে, সেটা চাই। দেশের স্বাধীনতা আজ বিপন্ন হচ্ছে। জড়তা থেকে মুক্তি পাক ভারত। পরাধীনতা ও কণ্ঠ স্তব্ধ করা থেকে মুক্তি পাক। খেলা হবে দিবসের মানে আছে।'
খেলাধুলোয় উৎসাহ দিতে ১ লক্ষ ফুটবল গ্রাম-শহরের ক্লাবগুলিকে বণ্টন করা হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী । তিনি বলেন,'ওই দিন ১ লক্ষ ফুটবল বিভিন্ন ক্লাবকেও দেব। আইএফএ স্বীকৃত ২৮৩টি ক্লাবকে ১০টি করে বল দেব। কাগজপত্তর তৈরি করতে রাখতে বলেছি অরূপ বিশ্বাসকে। ৫০ হাজার বল তৈরি হয়ে গিয়েছে। ঘরের মা-বোনেরা জয়ী বল তৈরি করেন। খেলা দিবসে ১ লক্ষ জয়ী বল গ্রাম-গঞ্জ ও শহরে দেব। যাতে খেলাধুলো করেন যুবকরা।'
বিরোধীরা 'খেলা হবে'র উল্টো অর্থ করছেন বলেও অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়,'আগামী দিনে খেলা হবে। সভ্যতা-সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে খেলা প্রয়োজন। যাঁরা এটা নিয়ে অন্য মানে করেন তাঁরা খেলার মানেটাই বোঝেন না। তাই খেলা হবে। এটা ভারতেও বড় স্লোগান হয়ে উঠেছে। বাংলা থেকে আওয়াজ উঠেছিল। এটা সবাই গ্রহণ করলে আমরা খুশি হব। তাই নির্দিষ্ট দিন করে দিলাম। কন্যাশ্রী দিবসের মতো মতো খেলা হবে দিবস।'
সূত্র:জি২৪