এই প্রজন্মই দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ—এমন মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। শুক্রবার (৯ মে) দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে ‘কয়েকটি কথা’ শিরোনামে এক দীর্ঘ পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মাহফুজ আলম লিখেছেন, “একটি দলের অ্যাক্টিভিস্টরা বারবার বলছেন, লীগ নিষিদ্ধের আইনি প্রক্রিয়ায় ছাত্ররা রাজি ছিল না—এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। ক্যাবিনেটের প্রথম বৈঠকেই আমি আইনের একাধিক ধারা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম।”
তিনি আরও জানান, ওই বৈঠকে নাহিদ ও আসিফ তার পক্ষে অবস্থান নেন এবং পরবর্তীতে লীগ নিষিদ্ধ করার আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনায় প্রাথমিক ঐকমত্যে পৌঁছানো হয়। আইন উপদেষ্টার সঙ্গে সাম্প্রতিক আলোচনায় এই প্রক্রিয়া শিগগিরই যুক্ত হবে বলে আশ্বাসও মিলেছে।
মাহফুজ আলম অভিযোগ করেন,“ঘোষণাপত্র নিয়ে আপনাদের দুই মাসের টালবাহানা নিয়েও আমরা বলব। আমরা চাই সবাই স্বীকৃত হোক, কিন্তু আপনারা সেটাও হতে দিচ্ছেন না।”
তিনি বলেন, ছাত্ররা দল ঘোষণার সময় সদিচ্ছা নিয়ে আলোচনা শুরু করলেও দলীয় প্রধানের আশ্বাসে আস্থা রেখে তারা অনেক ছাড় দিয়েছেন। এখন তাদেরকেই দোষারোপ করা হচ্ছে।
নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তির বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা নির্বাচন পেছাতে চাই না। ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবেই। কেউ যদি ভাবে ছাত্ররা নিজেরা কিছু করতে পারে না, তবে তারা হয় ছাত্রদের অবমূল্যায়ন করছে, নয়তো উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ডিলেজিটিমাইজ করতে চাচ্ছে।”
আক্ষেপ করে তিনি লিখেন, “যাদের আমরা সবচেয়ে বেশি ভরসা করেছি, পরামর্শ নিয়েছি, তাদের কাছ থেকেই ভরসার বদলে পেয়েছি অশ্বডিম্ব।”
তবু তিনি আশা প্রকাশ করেন, সংশ্লিষ্ট দল এবং তার প্রধান দেশপ্রেমিক ও প্রজ্ঞাপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন এবং ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে অভ্যুত্থানের শত্রুদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ঐকমত্য গড়ে তুলবেন।
সবশেষে তিনি লেখেন,“ঐক্যবদ্ধ হোন। নেতৃত্ব দিন। এই প্রজন্মকে হতাশ করবেন না। এই প্রজন্ম দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ।”
উল্লেখ্য, মাহফুজ আলম ২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম মুখপাত্র ছিলেন। বর্তমানে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
একুশে সংবাদ/ আ.ট/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :