AB Bank
  • ঢাকা
  • শনিবার, ০৩ মে, ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

“আমরা কারও মুখ বন্ধ করছি না, চাকরিও খাচ্ছি না”— প্রেস সচিব


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৬:২৮ পিএম, ২ মে, ২০২৫

“আমরা কারও মুখ বন্ধ করছি না, চাকরিও খাচ্ছি না”— প্রেস সচিব

সাংবাদিকদের চাকরি হারানোর অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, “আমরা কোনো সাংবাদিকের চাকরি খাচ্ছিও না, চাকরি দিচ্ছিও না। বাক্‌স্বাধীনতা হরণ করা হবে—এমন কোনো কাজ অন্তর্বর্তী সরকার করবে না।”

শুক্রবার (২ মে) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের আয়োজনে ‘জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশ: গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন তিনি।

সাংবাদিকদের চাকরি হারানোর বিষয়ে সরকারের অবস্থান শফিকুল আলম বলেন, “তিনজন সাংবাদিকের চাকরি চলে গেছে বলে যাঁরা সমালোচনা করছেন, তাঁরা যেন মনে রাখেন—আমরা কারও চাকরি খাইনি। আপনারা টিভি স্টেশনগুলোর সামনে গিয়ে আন্দোলন করছেন, সেটাও আপনাদের অধিকার। কিন্তু সরকার কাউকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করেনি বা করায়নি।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে যারা সত্যিকারের সাংবাদিকতা করেন, তাদের জন্য এর চেয়ে ভালো সময় আসেনি। আমরা কারও মুখ বন্ধ করছি না, কলম বন্ধ করছি না, ছাপাখানা সিলগালা করছি না।”

‘অপতথ্য’ নিয়ে উদ্বেগ প্রেস সচিব বলেন, “জুলাই পরবর্তী সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে অপতথ্য, মিস ইনফরমেশন ও ডিস ইনফরমেশন। এর পেছনে রয়েছে দুটি ফোর্স—ভারতের কিছু মিডিয়া এবং আওয়ামী লীগের কিছু লোক। এরা মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে প্রতিদিন অপপ্রচার চালাচ্ছে।”

তার দাবি, “ইউটিউব-ফেসবুকের মতো মাধ্যমে জনগণ জানতেও পারছে না কোনটা সত্য, কোনটা মিথ্যা। এই ভুল তথ্য সমাজকে অস্থিতিশীল করছে।”

সম্পাদকদের স্বাধীনতা এবং ফ্যাক্ট চেকিংয়ের আহ্বান শফিকুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের সব সম্পাদককে ডেকে বলা হয়েছে, “আপনারা মন খুলে লিখুন, আমাদের ভুল ধরিয়ে দিন। আমরা ভুলের ঊর্ধ্বে নই।”

তবে তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “শুধু খবর প্রকাশ করলেই হবে না, ফ্যাক্ট চেকিং এবং ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া আরও জোরদার করতে হবে।”

অতীত চর্চা ও বর্তমান বাস্তবতা সভায় উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার লিখিত ধারণাপত্রে বলেন, “আগে সরকার ঠিক করত কারা টকশোতে আসবেন, কোন রিপোর্টার কোন ঘটনা কাভার করবেন। এখন এসব চর্চা পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে।”

সভায় আরও বক্তব্য দেন—বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান, মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এস এম নছরুল কদির, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক শহিদুল হক, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুস সাত্তার, এবং সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের নেতা খুরশীদ জামিল চৌধুরী।

 

একুশে সংবাদ/ই.ফ/ এ.জে
 

Shwapno
Link copied!