স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন,ডেঙ্গুসহ মশবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।ডেঙ্গুসহ মশবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে ঢাকার জন্য তিন হাজার মানুষ কাজ করছে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ডেঙ্গুসহ মশবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক জাতীয় কমিটির( ২০২৪ সালের) প্রথম সভার শুরুতে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন,ডেঙ্গুসহ মশবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে ঢাকার জন্য তিন হাজার মানুষ আছে কীটনাশক ছিটানোর জন্য। ঢাকার বাইরেও সেই ব্যবস্থা আমরা করতে পারি। ভলান্টিয়ার দিয়ে এটি করার ব্যবস্থা করছি। এজন্য ইউনিয়ন পরিষদকেও সচেতন করতে হবে। পাশাপাশি জনগণকে জনসচেতন হতে হবে।
পরিবেশবান্ধব কীটনাশক আমদানির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরিবেশবান্ধব কীটনাশকই আমরা ব্যবহার করি। ২০১৯ সাল থেকে এটা আমরা আমদানি শুরু করেছি। ইতোমধ্যে আরো কিছু কিছু কীটনাশক আবিস্কার হয়েছে যেটা আরো বেশি কার্যকরী এবং পরিবেশের জন্য কম ঝুঁকিপূর্ণ। সেগুলো ইতোমধ্যে আমরা বাণিজ্যিকভাবে আমাদানির জন্য বিভিন্নজনকে উৎসাহিত করছি। আমাদের সিটি করপোরেশনগুলো সীমিত আকারে এটি ব্যবহার করছে।
এক বছরের কর্মপরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রতিবছরই কর্মসূচি আছে। এ বছরের জন্য আমাদের নতুন কোন থ্রেট আছে কিনা সেটি আমরা সবাই মিলে চিহ্নিত করতে বসেছি।
বিগত বছরের মতো ডেঙ্গুর ভয়াবহতা এ বছর দেখব না এমনটা আশা করা যায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আমি বলতে পারব না। কারণ সারা বাংলাদেশে এটি সংক্রামিত হয়ে গেছে। এটার পরিমাণ কমে যাবে সেটা বলা যাবে না।
অনেক ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি না হওয়ায় রেকর্ডের বাইরে থাকে, সে বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটাই একমাত্র পন্থা। আপনি আক্রান্ত হয়েছেন এটা আপনার জানতে হবে। আপনি আক্রান্ত হয়েছেন এটা না জানলে কাউন্ট কিভাবে করবে?
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :