ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের পশুর নদী এবং সুন্দরবনের নদ-নদী ও খালে পানি বাড়তে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে স্বাভাবিকের তুলনায় জোয়ারে প্রায় এক-দেড় ফুট পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে।
শুক্রবার (১২ মে) ভোরে জোয়ারে স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় তিন ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের করমজল পর্যটন, বন্যপ্রাণী প্রজনন ও তথ্যকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির।
তিনি জানান, ‘বঙ্গোপসাগরের দুবলা চরে স্বাভাবিকের তুলনায় জোয়ারের পানি বেড়েছে প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন ফুট। মূলত ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে এমনটা হচ্ছে। সুন্দরবন উপকূলে বাতাস বাড়ার পাশাপাশি নদীতে প্রবল ঢেউও বেড়েছে।’
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র জন্য বনবিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে প্রত্যেককে নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবারসহ শুকনা খাবারও মজুতের জন্য প্রত্যেক অফিসকে বলা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মোখার প্রভাবে সুন্দরবনের নদী-খালে স্বাভাবিকের তুলনায় তিন থেকে সাড়ে তিন ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। মোখার তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরো বেশি বাড়বে পারে পানি।
একুশে সংবাদ/ঢ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :