সম্পর্ক মানেই একে অপরের প্রতি এক অমোঘ আকর্ষণ। আর এই আকর্ষণ যত তীব্র হয়, সম্পর্কের ভিতও ততটাই মজবুত হয়। আর আকর্ষণ মানেই কিন্তু শুধুমাত্র যৌনসঙ্গম নয়। একে অপরকে স্পর্শের মাধ্যমেও উপভোগ করা যায় আকর্ষণ। আর মনের পাশাপাশি দুই সঙ্গীর একে অপরের শরীরের প্রতিও থাকে তীব্র টান।
মহিলারা যেমন পুরুষদের কিছু অঙ্গের প্রতি আকৃষ্ট হন, তেমনই পুরুষরাও মহিলাদের নির্দিষ্ট কিছু অঙ্গের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে থাকেন। আসলে মহিলাদের শরীরের এমন কিছু খাঁজ রয়েছে, যা পুরুষদের আকর্ষণ করে। মহিলাদের সেই অঙ্গগুলির বিষয়েই আলোচনা করে নেওয়া যাক।
বাহুমূল বা বগল: মেয়েদের শরীরের বাহুমূল বা বগলের প্রতি ছেলেরা তীব্র আকর্ষণ অনুভব করে থাকেন। যৌনতার ক্ষেত্রে এটা অনেক মহিলাই লক্ষ্য করে থাকবেন। এক সমীক্ষার কালে এক পুরুষ জানিয়েছিলেন যে, তাঁর মহিলা সঙ্গীর বাহুমূল তাঁকে পাগল করে দেয়। যদিও এটা শুনতে খুবই অদ্ভুত লাগবে। কিছু কিছু মুহূর্তে আবার এমন আকর্ষণের জন্য বেশ মজাও লাগে। এর ফলে আবেগ যত গভীর হবে, মহিলা সঙ্গীও তত বেশি উত্তেজনা বোধ করবেন।
পায়ের পাতা: শুনলে হয় তো হাসি পাবে যে, মহিলা সঙ্গীর পায়ের প্রতিও আকৃষ্ট হন পুরুষরা। সমীক্ষায় এক ব্যক্তি দাবি করেছেন যে, তিনি তাঁর মহিলা সঙ্গীর পায়ের পাতার প্রতিই সবথেকে বেশি আকর্ষণ অনুভব করেন। ওই ব্যক্তির আরও দাবি, ঘনিষ্ঠতার সময় সঙ্গিনীর পায়ের পাতা তাঁর উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দেয়। আসলে পায়ের পাতা নরম-কোমল এবং অত্যন্ত সূক্ষ্ম। আর এই আকর্ষণটাই আবেগ বাড়িয়ে দেয় এবং ঘনিষ্ঠতার মুহূর্তগুলোও খুবই সুন্দর হয়ে ওঠে।
ক্লিটোরিস-সহ গোপনাঙ্গ: আসলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, যৌন সুখ এবং পরিতৃপ্তির মূল চাবিকাঠি লুকিয়ে রয়েছে ছোট্ট অঙ্গ ক্লিটোরিসে। আসলে মহিলাদের এই অঙ্গের প্রতি তীব্র আকর্ষণ বোধ অনুভব করেন পুরুষরা। শুধু তা-ই নয়, বহু পুরুষ আবার ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে নিজের সঙ্গিনীর থাইয়ের ভিতরের দিকের অংশের প্রতিও আকৃষ্ট হয়ে পড়েন।
সমীক্ষায় এক পুরুষ দাবি করেছেন যে, ঘনিষ্ঠতার সময় তিনি তাঁর সঙ্গিনীর ক্লিটোরিসের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হন। তাঁর বক্তব্য, প্রতিবার তিনি তাঁর সঙ্গিনীর ওই অঙ্গকে নানা উপায়ে স্পর্শের মাধ্যমে অন্বেষণ করেন এবং যার ফল এক-এক বার এক-এক রকম হয়। আর ওই ব্যক্তির আরও দাবি, শুধু ক্লিটোরিসই না, সঙ্গিনীর থাইয়ের আশপাশের অংশে স্পর্শেও তাঁর যৌন উত্তেজনা জেগে ওঠে।
ঘাড় এবং ঘাড়ের পিছনের দিকের অংশ: অনেকেই বোধহয় জানেন যে, মহিলাদের ঘাড় বা গ্রীবা এবং ঘাড়ের পিছনের দিকের অংশের প্রতি তীব্র টান অনুভব করেন পুরুষরা। আর এই অংশের ছোঁয়াতেই বাড়তে থাকে আবেগের মাত্রা। সমীক্ষায় এক ব্যক্তি দাবি করেছেন যে, মহিলাদের ঘাড় ও তার আশপাশের অংশে যে উষ্ণতা ও আরাম পাওয়া যায়, তা বোধহয় শরীরের কোনও অংশেই পাওয়া যায় না। ফলে সঙ্গিনীর উত্তেজনা যত বাড়ে, সে তত বেশি ঘামতে থাকে। আর এতেই সঙ্গিনীর প্রতি তীব্র আকর্ষণ অনুভব করেন ওই ব্যক্তি।
পিঠের নিচের দিকের অংশ: যদিও মহিলাদের শরীরের এই অংশ সম্পর্কে অনেকেই ওয়াকিবহাল নন। আসলে মেয়েদের পিঠের ঠিক নিচের দিক বা কোমরের অংশ কিন্তু পুরুষ সঙ্গীর মনে তীব্র প্রেমের অনুভূতি জাগাতে পারে। আসলে পুরুষরা মহিলাদের শরীরের প্রতিটি খাঁজ এবং ভাঁজ ভীষণ ভাবে উপভোগ করে থাকেন। ফলে এটা যৌন তৃপ্তিও অনেক গুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
একুশে সংবাদ/জ.হ



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

