অবক্ষয় শব্দের আভিধানিক অর্থ ক্ষয়প্রাপ্তি। সামাজিক মূল্যবোধ তথা সততা, কর্তব্য পরায়নতা, নিষ্ঠা, ধৈর্য, উদারতা, শিষ্টাচার, সৌজন্যবোধ, নিয়মানুবর্তিতা, অধ্যবসায়, দেশপ্রেম, কল্যানবোধ পারস্পরিক মমতাবোধ ইত্যাদি নৈতিক গুনাবলী লোপ পাওয়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়াকে বলে সামাজিক অবক্ষয়।
আজকের পৃথিবীর দিকে তাকালে দেখতে পাই বিশ্বব্যাপী পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সর্বক্ষেত্রে অবক্ষয়ের ছাপ। নৈতিক মূল্যবোধ গুলো হারিয়ে যাচ্ছে। অশান্তি ও অস্থিরতা বাড়ছে পুরো পৃথিবী জুড়ে। ফলে পারিবারিক কলহ অবাধ অশ্লীলতা, কুরুচিপূর্ণ আচরণ সমাজকে নিয়ে যাচ্ছে দারপ্রান্তে। সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুক, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়ার খবরের প্রায় ৫০% খবরই সামাজিক অবক্ষয়ের। পএিকার পাতা খুললেই চোখে পড়ে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন, স্ত্রীর হাতে স্বামী খুন, প্রেমিকার হাতে প্রেমিক খুন, প্রেমিকের হাতে প্রেমিকা খুন, ভাইয়ের হাতে ভাই খুন, ছেলের হাতে মা খুন ইত্যাদি ইত্যাদি।
এই সর্বগ্রাসী সামাজিক অবক্ষয়ের হাত থেকে বাঁচতে হলে সর্বাগ্রে প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি। সেই সাথে ধর্মীয় অনুশাসনের অনুশীলন, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করা সহ সর্বক্ষেত্রে প্রতিরোধ করা আজ আমাদের সকলের দায়িত্ব হয়ে পরেছে। এটা সকলের মনে রাখা উচিত যে, সামাজিক সমস্যা দূর করতে রাষ্ট্রের সহযোগিতার হয়তো প্রয়োজন রয়েছে কিন্তুু মূল দায়িত্বটি পরিবার তথা সমাজকেই নিতে হবে।
সন্তানকে সময় দিন। তাকে বুঝতে চেষ্টা করুন। তার বন্ধুদের জানুন, তাকে নৈতিক মূল্যবোধ শিক্ষা দিন। সামাজিক মূল্যবোধ সৃষ্টিতে বাবা ও মায়ের গুরুত্ব অপরিসীম। সব শেষে বলতে চাই, নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষীত করে সন্তানদের আদর্শবান নাগরিক ও সত্যিকারের মুসলিম হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে মরন ব্যাধি অবক্ষয় থেকে দেশ, জাতি সমাজকে রক্ষা করা সম্ভব।
একুশে সংবাদ/ বাবু /এস
আপনার মতামত লিখুন :