ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান বিন জসিম আল থানি। তিনি বলেছেন, এমন হামলা হলে কাতারসহ পারস্য উপসাগরের দেশগুলো তিন দিনের মধ্যে পানিশূন্য হয়ে যাবে।
শুক্রবার (৭ মার্চ) মার্কিন রাজনৈতিক ভাষ্যকার ও উপস্থাপক টাকার কার্লসনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন।
দক্ষিণ ইরানের বুশেহর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যদি কখনও হামলা হলে ইরান এবং কাতারের মধ্যবর্তী পানির কী হবে জানতে চাইলে শেখ মোহাম্মদ আল থানি বলেন, এই ধরনের ঘটনায় উচ্চ মাত্রার পানি দূষণ হবে। এই অঞ্চলে ‘পরিবেশগত বিপর্যয়’ ডেকে আনবে।
তিনি বলেন, গোটা পারস্য উপসাগরের পানি দূষিত হয়ে যাবে। মাত্র তিন দিনের মধ্যে কাতারে পানি সংকট দেখা দেবে।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি শুধু কাতারের ক্ষেত্রে ঘটবে না বরং এটি কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পারস্য উপসাগর তীরবর্তী সবগুলোর দেশের জন্য প্রযোজ্য হবে।
মতপার্থক্য থাকলেও ইরানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ১৪ বছর ধরে সিরিয়ায় ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি, কিন্তু উভয় দেশের মধ্যে মতপার্থক্য সত্ত্বেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে।
একজন মার্কিন কংগ্রেসম্যান ইরানের সঙ্গে কাতারের সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছিল বলে সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী।
তিনি জানান, তিনি ওই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে মার্কিনীদের সামনে একটি মানচিত্র এঁকে দেখিয়ে দেন যে, কাতার ও ইরান কতটা কাছাকাছি অবস্থান করছে। ফলে এই দুই দেশের সম্পর্ক ছিন্ন করা সম্ভব নয়
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি সম্প্রতি ইরানের পরমাণু স্থাপনার বিরুদ্ধে ইসরাইলি সরকার বা যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।
তিনি বলেন, আমার ধারণা এই ক্ষেত্রে (ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় সম্ভাব্য হামলা) আমরা ওই অঞ্চলে ব্যাপক যুদ্ধে প্রবেশ করব, এটি এমন এক বিপর্যয় যা এ অঞ্চলের বা ওই অঞ্চলের বাইরে কেউই চায় না।
একুশে সংবাদ/স.ট/এনএস