মন খুলে বলুন মনের কথা। মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিলে দূর হবে বিষন্নতা। কমবে আত্মহত্যার প্রবণতা। মনের যত্নে চালু হয়েছে বেশ কিছু অনলাইন স্বেচ্ছাসেবা কেন্দ্র। তবে শুধু অনলাইনে নয়, শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রসহ সব প্রতিষ্ঠানে মানসিক স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র চালুতে গুরুত্ব দিচ্ছেন মনোবিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছেন, সঠিক কাউন্সেলিং ঠেকাতে পারে আত্মহননের পথ।
আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর জীবনে ক্রমেই একা হয়ে পড়ছে মানুষ। মন খুলে কথা বলারও কেউ নেই ব্যস্ততম নগর জীবনে। সময় নেই মনের যত্ন নেওয়ার।
সম্প্রতি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সাদি মহম্মদ। এ জন্য স্বজনেরা দায়ী করেন তাঁর বিষন্নতাকে। যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা।
মন খুলে কথা বলার সুযোগ পেলে দূর হবে এই ব্যাধি। এমন লক্ষ্যে ১১ বছর আগে কিছু তরুণ-তরুণীর উদ্যোগে শুরু হয় `কান পেতে রই`। যেখানে ফোন করে পরিচয় গোপন রেখেও কথা বলা যায় স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে।
কান পেতে রইয়ের আউটরিচ এক্সিকিউটিভ আশিক আব্দুল্লাহ জানান, এটি একটি ইমোশনাল সাপোর্ট ও সুইসাইড প্রিভেনশন হেল্পলাইন। যে কেউ এখানে কথা বলে, তাদের কথাগুলো শেয়ার করতে পারে। কান পেতে রইয়ের সদস্যরা তাদের কথা শোনে এবং তাদেরকে বোঝার চেষ্টা করে। তাদের পাশে সহমর্মিতার সঙ্গে থাকার চেষ্টা করে।
কান পেতে রইয়ের স্বেচ্ছাসেবী সমন্বয়ক লাবীম মালিয়াত বলেন, ‘কেউ মানসিক অবসাদ দূর করতে যদি থেরাপি নেয়, তাহলে সমাজের নানা দিক থেকে নানা রেস্ট্রিকশন আসে। কিন্তু মানুষ যে কোনো সময় যে কোনো পরিবেশে মনের বিষন্নতা দূর করতে একটা ফোন করতে পারে কান পেতে রইয়ের নম্বরে। এভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায় ভেবেই কান পেতে রইয়ের শুরু।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রয়েছে এমন বেশ কিছু গ্রুপ। এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান মনোবিজ্ঞানীরা। শুধু ভার্চুয়াল জগতেই নয়, সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে মানসিক স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র নিশ্চিতের তাগিদ দিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডা. মেখলা সরকার বলেন, ‘প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কাউন্সেলিং সেবা থাকা প্রয়োজন। অন্তত একজন করে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট থাকা দরকার।’
বিশ্বজুড়ে আত্মহত্যা এখন একটি জটিল সমস্যা। এ থেকে উত্তরণে নিজের মনের যত্ন নেওয়া সবচেয়ে জরুরি বলছেন মনোবিজ্ঞানীরা।
একুশে সংবাদ/এনএস
 
    
 
                        

 
                                         
                                             
                                                        
                             একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন 
												 
												 
												 
												 
												 
												 
												 
												 
                                             
                                             
                                             
                                             
                                             
                                             
                                             
                                            
