AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

গাফিলতির প্রমাণ পেলে কাউকে ছাড় নয়: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর


Ekushey Sangbad
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
০৫:৩৪ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
গাফিলতির প্রমাণ পেলে কাউকে ছাড় নয়: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

চিকিৎসায় গাফলতির কারণে কোনো রোগীর মৃত্যু হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী মামলার মাধ্যমে বিচার হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আবু হোসেন মো. মইনুল আহসান।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সুন্নতে খৎনা করাতে গিয়ে শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় রাজধানীর মালিবাগে অবস্থিত জেএস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টার পর্যবেক্ষণে এসে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, শুধু ছোট কোনো হাসপাতাল নয়, এ রকম অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে ল্যাবএইড কিংবা ইউনাইটেড হাসপাতালকেও ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, ল্যাবএইড হাসপাতালে গত সোমবার রাতে এন্ডোস্কোপি করাতে গিয়ে একজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে, সে বিষয়ে আমরা অবগত আছি। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের টিম ল্যাবএইড পরিদর্শন করেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তর ল্যাবএইডের ঘটনাটিকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। আমরা সকল তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছি। একই সঙ্গে তাদের কাছে আরও তথ্য-উপাত্ত চেয়েছি।

অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, এর আগে ইউনাইটেড হাসপাতালে যে ঘটনাটি ঘটেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়েছি। মামলা চলমান আছে। চিকিৎসা নিতে গিয়ে কোনো রোগীর মৃত্যু হয় এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকের কোনো গাফিলতি থাকে, তাহলে চলমান আইন অনুযায়ী মামলার মাধ্যমে তার বিচার হবে।

তিনি বলেন, ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা গত কয়েকদিনে সারাদেশে ১ হাজার ২৭টি ক্লিনিক বন্ধ করেছি। আমরা আবারও বলছি, ল্যাবএইড- ইউনাইটেডসহ যে কোনো হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় যদি চিকিৎসকের গাফিলতি থাকে, তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডা. মইনুল আহসান বলেন, আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষে থেকে শিশু আয়হামের মৃত্যুর ঘটনায় শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা জেনেছি গতকাল সামান্য একটা মুসলমানির জন্য শিশুটিকে এই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ডা. ইশতিয়াক নামে একজন সার্জন ছিলেন, আর ডা. মাহবুব মুর্শেদ শিশুটির এনেসথেসিওলজিস্ট ছিলেন। অভিযোগ অনুসারে, এনেসথেসিয়া দেওয়ার সময় শিশুটিকে অজ্ঞান করার পর আর তার জ্ঞান ফেরেনি। আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে ঘটনাটি জানতে পেরেছি। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলে প্রতিষ্ঠানটিতে তালা মারা হয়েছে।

অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক আরও বলেন, হাসপাতালটির সমস্ত তথ্য আমাদের হাতে এসেছে। আমরা সেগুলো পর্যবেক্ষণ-পর্যালোচনা করছি। যতটুকু পেয়েছি, প্রতিষ্ঠানটির হাসপাতাল কার্যক্রম চালানোর কোনো অনুমোদন ছিল না। তবে তাদের ডায়াগনস্টিক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন রয়েছে। সুতরাং তারা যদি কোনো রোগীকে এনেসথেসিয়া দিয়ে থাকে, সেটি অন্যায় করেছে। আর যিনি অপারেশন করেছেন, তার বিরুদ্ধে আমরা আমাদের আইন অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।


একুশে সংবাদ/আ.জ.প্র/জাহা

 

Link copied!