আরও কয়েক দিনের সুযোগ পেলেন ডা. সাবরিনা

করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা শারমিন হোসেন বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। নিম্ন আদালতের দেওয়া কারাদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি না হওয়া পর্যন্ত সাবরিনাকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তিন বছরেরও বেশি সময় কারাগারে থাকার পর এ বছরের ১৬ জুন জামিনে মুক্তি পান তিনি।

এদিকে, ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায়ের করা প্রতারণার মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির তারিখ পিছিয়েছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। তবে তার পক্ষের আইনজীবীরা শুনানি পেছাতে সময়ের আবেদন করেন। আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির জন্য নতুন তারিখ ঠিক করেন আদালত।

২০২২ সালের ২৪ নভেম্বর ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতি মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গুলশান জোনের পরিদর্শক রিপন উদ্দিন। ওই বছরের ২২ ডিসেম্বর তা গ্রহণ করেন আদালত।

অভিযোগপত্রে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ১৯৭৬ সালের ২ ডিসেম্বর ডা. সাবরিনার সঠিক জন্ম তারিখ। ১৯৯১ সালে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করেন তিনি। ২০০০ সালে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ২০১৬ সালে দ্বিতীয় এনআইডিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর জন্ম তারিখ সংক্রান্ত মিথ্যা তথ্য দেন। সে অনুযায়ী তিনি মাত্র আট বছর বয়সে এসএসসি এবং ১৭ বছরে এমবিবিএস পাশ করেন, যা গ্রহণযোগ্য নয়।

অভিযোগে বলা হয়, তিনি বয়স কমিয়ে জালিয়াতির উদ্দেশ্যে দ্বিতীয় টিআইএন নম্বর (করদাতাদের কর শনাক্তকরণ নম্বর) প্রাপ্ত হন। প্রতারণামূলকভাবে দ্বিতীয় এনআইডি খাটি দলিল হিসেবে তার অফিসে হিউম্যান রির্সোস ইনফরমেনশন সিস্টেমে (এইচআরআইএস) ব্যবহার করে অবসরোত্তর ছুটির (পিআরএল) সময় বৃদ্ধির অপরাধ করেন।

এতে আরও বলা হয়, বর্তমানে সাবরিনার দুটি এনআইডি কার্ড সক্রিয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য চেয়েছে। সাবরিনা ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। একটিতে জন্ম তারিখ ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর, অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। প্রথমটিতে স্বামীর নাম আর এইচ হক, দ্বিতীয়টিতে আরিফুল চৌধুরী।

একুশে সংবাদ/আ.ট.প্র/জাহা