গভীর সমুদ্রে জীবন বাজি রেখে জেলেরা যা উপার্জন করে, বছরের ১টা মাস আসলেই যেন তা চোখের সামনেই ধুলিসাৎ হয়ে যায়। বলছিলাম সাগরের পাড়ে বসবাস করা জেলেদের কথা। তাদের যেন দেখার কেউ নেই।
চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থানাধীন জেলেপাড়ার একরাশ দুঃখ দুদর্শার চিত্র ফুটে উঠেছে একুশে সংবাদ.কম এর ক্যামেরায়। এই বস্তিতে প্রায় ২০০ জেলের বসতভিটা। ২০০৫ সালে ছন্নছড়া এসব মানুষ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এখানেই বসতবাড়ি করে। আর সেই থেকে তাদের এমন করুন পরিনতি।
ঘূর্ণিঝড় আর জলোচ্ছ্বাসের কোন খবর আসলেই যেন আতংকে আর ভয়ে দিন কাটাতে হয় তাদের। বসতভিটা বলতে একচালা টিনের চোপড়া ঘর। এই নিয়ে দুমুঠো খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছে তারা। আম্মান কিংবা সিডর, সব ঘূর্ণিঝড় দেখা হয়েছে চোখের সামনে। আর তাতে চোখের পানিসহ সহায় সম্বল সব হারিয়েছে তারা।
একটি বা দুটি বছর নয়, এমন ঘটনার সাক্ষী হতে হয়েছে তাদের প্রায় প্রতিটা বছর। এই দূর্ভাগ্য যেন সৌভাগ্যে পরিনত হয়না আর তাইতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসলে জেলা প্রশাসনের শত সতর্কতা যেন কানেই নেয়না তারা। তবুও জীবন বাচাতে ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডব থেকে বাচতে প্রাণের বাড়িঘর রেখে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে দেখা গেছে অনেক জেলেদের।
বসতভিটা পূর্ণবাসনের দাবী জানিয়েও কোন লাভ হয়নি তাতে, আক্ষেপ করে এমন অভিযোগ জানাতে দেখা গেছে অনেক জেলেদের। প্রতিটি ঘূর্ণিঝড়-ই তননছ হয় তাদের সাজানো গোছানো সংসার, রুটি রুজির কথা না হয় বাদই দিলাম, সব ধুয়ে মুছে নিয়ে যায় নির্দয় সাগর।
মাছ ধরার ট্রলার কিংবা জাল কিছুই যেন আর অবশিষ্ট থাকেনা। মহাজনের ঋন আর ছেলেমেয়ের লেখাপড়া করাতে গিয়ে রীতিমতো হাপিয়ে উঠেছে তারা, তবুও বেচে আছে এসব জেলেরা৷
একুশে সংবাদ/এসএপি



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

