AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

পলাশ যেন বসন্তের পুর্ণতা


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৭:২৩ পিএম, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
পলাশ যেন বসন্তের পুর্ণতা

সম্মুখে চওড়া পাপড়ি, পেছনে দুটি ডানার মত ছড়ানো এবং দুটি একত্রে বাঁকানো, পাখির ঠোঁটের মতো অরণ্যের অগ্নিশিখা পলাশ। যেন পহেলা ফাল্গুনের আগাম বার্তা দিয়ে যায়। পলাশের সমারোহে ইঙ্গিত দেয় পলাশ যেন বসন্তেরই পুর্ণতা। এটির বৈজ্ঞানিক নাম (Butea monosperma)। তবে পলাশ নামেই পরিচিতি বেশি। রয়েছে আরো কত বাহারী রকমের নাম যেমন কিংশুক, পলাশক, বিপর্ণক।

শীতের বিদায় ছুঁই ছুঁই। বসন্তের আগমন আর মাত্র কিছু দিন পরেই। গাছের পাতা ঝরতে শুরু করেছে। আবার ফল গাছে মুকুল ধরেছে। গাছে গাছে ফুলের সমারহ। এক অভিন্ন অনুভূতি। যা ইতিমধ্যে আমরা অনুভব করতে শুরু করেছি। তবে বসন্তের আগমনের বার্তা আগে থেকেই জানিয়ে দেয় গাছের কোলজুড়ে দুলতে থাকা রক্তিম পলাশ ফুল। মনে হয়, বনে আগুন লেগেছে। নবীন পাতার সমারোহ আর বনজুড়ে দেখেতে পাই পলাশের বর্ণমিছিল। তাই পলাশকে নিরদিদ্ধায় বলতে পারি অরণ্যের অগ্নিশিখা পলাশ।

বাংলা সাহিত্যে পলাশের প্রভাব অতিশয়। গানে, কবিতায় কোথায় নেই পলাশ? তবে শুধু এ কালের সাহিত্য নয়, পলাশ সুপ্রাচীনকালেও ছিল সমান আদরণীয়। মহাভারতের সভাপর্বে ইন্দ্রপ্রস্থ নগরের যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, সেখানে উদ্যান আর কৃত্রিম জলাধারের পাশেও ছিল পলাশ বৃক্ষের মাতামাতি।

আজ সেই পলাশ বৃক্ষের মাতামাতি খুঁজে পাওয়া দায়। আমাদের মধ্যে থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে পলাশ। পলাশ ফুল রক্ষায় চোখে পরার মত নেই কোন উদ্যেগ। বরিশাল নগরীর সরকারি মহিলা কলেজ প্রাঙ্গন থেকে ছবি সংগ্রহ করেছে আলোকচিত্রী এন আমিন রাসেল। তিনি জানিয়েছেন ‘বরিশালে পলাশের সমরহ নেই বল্লেই চলে। তবে কেন্দ্রিয় শহিদ মিনার এবং মহিলা কলেজের মধ্যে এই দুটি যায়গায় আছে। বছরের ফেব্রুয়ারির দিকেই আমরা পলাশের জন্য অপেক্ষা করি, কখন ফুটবে পলাশ।’

বাংলাদেশসহ অন্য অন্য দেশেও রয়েছে পলাশ ফুলের ব্যাপক চাহিদা। আমদের দেশে গ্রাম অঞ্চলে বেশি দেখা যায়। পলাশের বিভিন্ন অংশ ভেষজ ও অন্যান্য নানা কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ফুল থেকে যে হলুদ রঙ পাওয়া যায় তা দোলের রং তৈরিতে কাজে লাগে। আঠা অরেচক হিসেবে ও কোন কোন স্থানে নানান খাবার তৈরির জন্য  বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়। তাই পলাশ রক্ষার্থে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। 

একুশে সংবাদ/ সুকা.অ /এস


 

Link copied!