AB Bank
ঢাকা রবিবার, ১৬ জুন, ২০২৪, ২ আষাঢ় ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

আবারও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিচ্ছে এনবিআর


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৭:০৫ পিএম, ২২ মে, ২০২৪
আবারও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিচ্ছে এনবিআর

কালো টাকার মালিকদের আবারও সাধারণ ক্ষমার সুযোগ দিচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে আসন্ন বাজেটে কর বাড়ছে পাঁচ শতাংশ। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী অর্থবছরে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে অবৈধ অর্থ-সম্পদ বৈধ করা যাবে। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবে না কোনো সংস্থা।

করোনায় টালমাটাল অর্থনীতির গতি পুনরুদ্ধারে ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারের নানা উদ্যোগের পাশাপাশি ১০ শতাংশ কর দিয়ে অবৈধ সম্পদ বৈধ করার সুযোগ দেয় এনবিআর। বিধান করা হয়, সুযোগ গ্রহণকারীরা কোথাও প্রশ্নের মুখে পড়বেন না। এনবিআরের হিসাবে, তখন লুকানো ফ্ল্যাট, টাকা ও বিনিয়োগ কর নথিতে দেখান ১১ হাজার ৮৫৯ জন। বৈধ হয় প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। এতে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার কর আসে।

দেশের অর্থনীতি এখনো নজিরবিহীন সংকটে। খরচ মেটাতে সরকারের যেমন দরকার বাড়তি টাকা, অর্থনীতিতেও অর্থের প্রবাহ বাড়ানো দরকার। তাই আবারো সম্পদ বৈধ করার সুযোগ অবারিত করতে চায় এনবিআর। কর্মকর্তারা জানান, ১৫ শতাংশ কর দিয়ে গোপন ফ্ল্যাট, নগদ টাকা, সঞ্চয়পত্র আয়কর রিটার্নে দেখানোর সুযোগ দেওয়া হতে পারে। সুযোগ গ্রহণকারীরা আইনি জটিলতায় পড়বেন না, এমন নিশ্চয়তাও থাকতে পারে।

ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রহমান বলেন, ‘আমার যদি মনোবল দুর্বল হয়ে থাকে, আমি তখন সাদা টাকা থেকে কালো টাকা আয় করার চেষ্টা করব। সাদা টাকা আয় করলে আমার খরচ দিতে হবে ৩০ শতাংশ। আর যদি কালো টাকা আয় করি, তাহলে আমার খরচ দিতে হবে ১৫ শতাংশ। এটা আসলে বিশ্বের কোথাও নেই। এই আইন একমাত্র বাংলাদেশেই চলে। এটা কোনো অর্থনীতির জন্যই ভালো নয়।’

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অল্প কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাজস্ব ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কালো টাকার মালিকদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ তাদের।

গবেষণা সংস্থা সিপিডির জ্যেষ্ঠ তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘বছরের পর বছর এই সুবিধা আপনার আছে। অন্যদিকে এটার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়ার মতো বড় কোনো ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম নেই। ফলে সার্বিক ভাবেই এটার কার্যকারিতা আর পরে থাকে না। আমি মনে করি প্রাথমিকভাবে এখন সরকারের পক্ষ থেকে যেটা করা দরকার সেটা হলো প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেওয়া কালো টাকা কমানোর।’

২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে বিদেশে পাচার করা অর্থ মাত্র সাত শতাংশ কর দিয়ে ফিরিয়ে আনার সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু একজনও সে সুযোগ গ্রহণ করেননি।


একুশে সংবাদ/ই.ট.প্র/জাহা
 

Link copied!