এবার ঢাকায় কোরবানির হাট বসবে ২২টি। এরই মধ্যে ঢাকা উত্তরের সাতটি ও দক্ষিণের দুটি হাটের ইজারাদার নিশ্চিত হয়ে গেছে। তবে চারটিতে এখন পর্যন্ত কেউ দরপত্র জমা দেননি। ঈদের দিনসহ পাঁচ দিন বেচা-কেনা চলবে অস্থায়ী হাটগুলোতে। সিটি করপোরেশনের আশা, এবার অন্তত দেড় গুণ বেশি দর পাওয়া যাবে।
আগামী মাসে কোরবানির ঈদ। এরই মধ্যে হাটের প্রস্তুতি শুরু করেছে সিটি করপোরেশন। গাবতলীর স্থায়ী হাটসহ ঢাকা উত্তরে বসবে ১০টি। এর মধ্যে ভাটারা ও বছিলার জন্য কোনো দরপত্র জমা পড়েনি। গতবার দিয়াবাড়ি হাটের দর ছিল ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা, এবার উঠেছে ৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আফতাবনগরের হাটের দর ছিল ১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা, এবার উঠেছে ৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। কিন্তু ইস্টার্ন হাউজিংয়ের হাট, সরকার নির্ধারিত দরের চেয়ে ২০ হাজার টাকা কম দর পড়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, শতভাগ নিয়ম মেনে ঢাকায় এবার পর্যায়ক্রমে কোরবানির হাটের ডিস্ট্রিবিউশনের কাজসহ যাবতীয় কাজগুলো সম্পন্ন করা হবে। কাজ শেষে কোন হাট কারা ও কত দামে পেল জানিয়ে একটা প্রেস রিলিজও দেওয়া হবে।
গত বছর ঢাকা দক্ষিণের হাজারীবাগের হাটের দর ছিল ৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা, এবার উঠেছে ৬ কোটি ৬ লাখ টাকা। আর মেরাদিয়া হাটের দর ১ কোটি টাকা বেড়ে হয়েছে ৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা। কমলাপুর হাটের জন্য আগ্রহ দেখাননি কেউ।
ঢাকা দক্ষিণ কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ইজারাদাররা অবশ্যই নিজেদের লাভের হিসাব করেই দাম রাখছে। তবে সিটি করপোরেশনের আশা, এবার অন্তত দেড় গুণ বেশি দর পাওয়া যাবে।
সিটি করপোরেশন বলছে, হাটের ইজারার সঙ্গে ভ্যাট, আয়কর ও পরিষ্কার বাবদ টাকা দিতে হবে।
একুশে সংবাদ/এ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :