AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

প্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম আরও বাড়বে!


Ekushey Sangbad
অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
০৩:২১ পিএম, ২১ মে, ২০২২
প্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম আরও বাড়বে!

ছবি: সংগৃহীত

চাল, ডাল, আটা, ডিম, সবজি ও মুরগির দাম বেড়েছে বাজারে এবং নিত্য প্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম আরও বাড়বে বলছেন ব্যবসায়ীরা। এরই মাঝে মধ্যবিত্তদের কষ্টের শেষ নেই।  

বাজারে সবজির দাম বেড়েছে। শসা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা আর গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, চায়না গাজর প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০ টাকা, বটবটির কেজি ৬০ টাকা ও মটরশুটির ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা আল-আমিন বলেন, বন্যার কারণে সবজির দাম বেড়েছে। সবজির সরবরাহ বাজারে কম। ক্রেতাদের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবজির দাম বেড়েছে।  

এসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা।  

বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে আলু। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা।  পেঁয়াজে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। আর একটু ভালো মানের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়।

১১ নম্বর বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো. কবির বলেন, মূলত আমদানি বন্ধ থাকায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। এখন যে দামে বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে সেই দামে বিক্রি হবে। দাম বাড়ার সম্ভাবনা নাই। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হলে তখন পেঁয়াজের দাম একটু কমবে।
বাজারে চায়না রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি।  
বাজারে চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি। এছাড়া প্যাকেট চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়।  
এছাড়াও বেড়েছে ডালের দাম। দশ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে দেশি মসুরের ডালের কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা।  
আটার দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা।

খুচরা ও পাইকারি আটা ও ডাল বিক্রেতা বিসমিল্লাহ স্টোরের মালিক মো. নাহিদ বলেন, খোলা আটার কেজি বিক্রি করছি ৫০ টাকা। ঈদের পরেও বিক্রি করেছি আটা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। আটা-গম আমদানি বন্ধ থাকায় দাম বেড়েছে। ডালের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। সাত দিন আগেও ইন্ডিয়ান ডালের কেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকা বিক্রি করেছি। এখন বিক্রি করছি ১১০ টাকায়।  
তিনি বলেন, ভারত থেকে ডাল আমদানি বন্ধ থাকায় দাম বেড়েছে। আটার দাম বেড়েছে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে। আটার দাম আরো বাড়তে পারে।  

বাজারে ডিমের দামও বেড়েছে। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। বাজারে হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৯০ টাকা।  
গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকা। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়।
ভরা মৌসুমেও দাম বেড়েছে চালের। মিনিকেট চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা। এক সপ্তাহ আগে মিনিকেটের কেজি ছিল ৬৪ টাকা। ২৮ চালের কেজি ২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। আগে দাম ছিল ৪৮ টাকা কেজি। নাজিরশাইল চালের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হতো ৬৮ থেকে ৭০ টাকায়। বাজারে পোলাও-এর চাল বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। সাত দিন আগেও পোলাও-এর চালের কেজি ছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকা। 

মকবুল রাইস এজেন্সির কর্ণধার কামাল সরকার বলেন, রাইস মিল মালিকরা বন্যা ও সরকারের চাল ক্রয়ের অজুহাত দিয়ে দাম বাড়িয়েছে। এছাড়াও অন্য আরেকটি কারণ হচ্ছে রাইস মিল মালিকরা চাল কিনে চাল মজুদ করে রাখছেন। পরে বিক্রি করবেন বলে। এসব কারণেই চালের ভরা মৌসুমেও দাম বেড়েছে।  

বাজারের ক্রেতা মো. আরমান বলেন, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় মূল্যের দাম ঊর্ধ্বগতি থাকায় মধ্যবিত্তরা সবচেয়ে কষ্টের দিন পার করছেন। তারা না পারছেন বলতে, না পারছন সইতে।

একুশে সংবাদ/বি.এন.24/রখ
 

Link copied!