ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানি বন্ধ ১৯৯০ সাল থেকে। দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর পর সরকার পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে শর্তসাপেক্ষে আবারও ওয়েট ব্লু চামড়া (পশম ছাড়ানো চামড়া) রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে।২০ লাখ বর্গফুট করে মোট ১ কোটি বর্গফুট ওয়েট-ব্লু চামড়া রফতানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
শনিবার (১০ জুলাই) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের (রফতানি-১ অধিশাখা) আমদানি ও রফতানি নিয়ন্ত্রক দফতরের প্রধান নিয়ন্ত্রককে দেয়া চিঠিতে এসব প্রতিষ্ঠানকে ওয়েট-ব্লু চামড়া রফতানির অনুমতি দেয়া হয়।
এএসকে ইনভেস্টমেন্ট, মেসার্স কাদের লেদার কমপ্লেক্স, আমিন ট্যানারি লিমিটেড, লেদার ইন্ডাস্ট্রিজ অব বাংলাদেশ লি. (ইউনিট-২) এবং কালাম ব্রাদারসকে এই ২০ লাখ বর্গফুট করে মোট ১ কোটি বর্গফুট ওয়েট-ব্লু চামড়া রফতানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।
ওয়েট-ব্লু চামড়া রফতানির অনুমতির শর্তগুলো:
রফতানি নীতি ২০১৮-২১ অনুসরণ করতে হবে; এই অনুমতি শুধুমাত্র রফতানির অনুমতিপ্রাপ্ত ওয়েট ব্লু চামড়ার নির্ধারিত পরিমাণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। পরবর্তী রফতানিসমূহের জন্য পুনরায় আবেদন করতে হবে।
মানসম্মত ওয়েট চামড়া রফতানি করতে হবে; রফতানি অনুমতির মেয়াদ ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে; জাহাজীকরণ শেষে রফতানি সংশ্লিষ্ট সকল কাগজ-পত্রাদি এ শাখায় দাখিল করতে হবে; যে দেশে রফতানির জন্য অনুমতি প্রদান করা হবে সে দেশেই রফতানি করতে হবে এবং সরকার প্রয়ােজনে যে কোনো সময় ওয়েট-ব্লু চামড়া রফতানি নিষিদ্ধ করতে পারবে।
সীমিত পরিসরে ওয়েট ব্লু রপ্তানির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ট্যানারি মালিকরা। ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ সময় সংবাদকে জানান, দেশে বর্তমানে বছরে চামড়ার চাহিদা ২৫ কোটি বর্গফুট। চাহিদার বড় অংশই আসে কোরবানির পশু থেকে।
একুশে সংবাদ/জা/তাশা
আপনার মতামত লিখুন :