AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

মানবপাচার করেই কোটি টাকার মালিক অমি ও সহযোগীরা


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৫:২৪ পিএম, ২২ জুন, ২০২১
মানবপাচার করেই কোটি টাকার মালিক অমি ও সহযোগীরা

মানবপাচার করেই কোটি টাকার মালিক হয়েছেন পরিমণির বন্ধু অমি ও তার সহযোগীরা।দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে শত শত মানুষকে বিভিন্ন দেশে পাচার করেছেন মো. তুহিন সিদ্দিক অমি (৩৩) ও তার সহযোগীরা। 

মঙ্গলবার (২২ জুন) দুপুরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংস্থাটির ঢাকা মেট্রোর অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক।

এর আগে শনিবার রাজধানীর দক্ষিণখান থানায় অমি ও তার সহযোগীদের মানবপাচার চক্রের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়। পরে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ মামলায় সিআইডি এখন পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতাররা হলেন- মো.জসিম উদ্দিন (৩৬), মো. সালাউদ্দিন (৩৫), মো. মুসা (২৬), মো. রাকিবুল ইসলাম রানা (৩৩), মো. গোলাপ হোসেন বুলবুল (৩৪), মো. জাকির হোসেন (৩৪), মো. নাজমুল (২৫), মো. আলম (৩৫), ও শাহজাহান সরকার (৪৩)।

তবে এর আগেই চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় ১৪ জুন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন তুহিন সিদ্দিকী অমি।

ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পুলিশের টানা কয়েকদিনের অভিযানে বেড়িয়ে আসে  ৩৯৫টি পাসপোর্ট, পাচারকারী চক্রের মূলহোতা মো. তুহিন সিদ্দিক অমির চারটি বিলাসবহুল গাড়ি, ২২টি কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক, সম্পত্তির দলিল, ক্রেডিট কার্ড, অলিখিত স্ট্যাম্প, বিভিন্ন ব্যাংকের চেকবই, ব্যাংক কার্ড, পেনড্রাইভ ও মোবাইল সেট।এসব জব্দ করেছে পুলিশ।

জানা যায়, অমি ও তার সহযোগীরা শত শত লোকজনকে অধিক বেতনে বিদেশে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করে। এ মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যরা ভিকটিমদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে চাকরি না দিয়ে বিভিন্ন দেশে পাচার করে আসছিল। এছাড়া আরও অনেক নিরীহ সরল লোকদের বিভিন্ন দেশে পাঠানোর কথা বলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।

পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, চক্রটি ভিকটিমদের যথাযথ পদ্ধতিতে বিদেশ পাঠায়নি বলে তারা কাজ পাচ্ছে না। ফলে ভিকটিমরা সেখানে অবরুদ্ধ অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। অমি ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধভাবে বিভিন্ন দেশে মানবপাচার করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করে আসছে। তারা স্বল্প সময়ের মধ্যে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অর্থ সম্পত্তির মালিক হয়েছে।

এ বিষয়ে আরও তথ্য জানতে সিআইডির তদন্ত চলমান। আসামিদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে রিমান্ড মঞ্জুরের জন্য আদালতে তোলা হবে বলেও জানান তিনি।

একুশে সংবাদ/তাশা

Link copied!