পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের চরবাংলা এলাকায় খাস জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ ২৪ জন কৃষক আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে বিরোধীয় খাস জমির দখলকে কেন্দ্র করে ইজারা পাওয়া কৃষক ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সংঘর্ষে ইজারা পাওয়া কৃষকদের ১৬ জন গুরুতর আহত হন, যাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অপর পক্ষের ৮ জন আহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশাদুর রহমান।
আহত ভূমিহীন কৃষকেরা অভিযোগ করেন, চরবাংলা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হাওলাদার ও তাঁর সহযোগীরা পরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আনোয়ার হাওলাদার জানান, ‘চরবাংলার বিরোধীয় খাস জমিতে আমাদের ঘর ছিল। বৃহস্পতিবার আমাদের ঘরটি ভেঙে অন্যরা নতুন ঘর নির্মাণ করছিল। আমরা নিষেধ করায় তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। হামলার অভিযোগ সত্য নয়।’
চরবিশ্বাস ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বাকের বিশ্বাস বলেন, তিনি ঘটনার সময় দশমিনায় ছিলেন এবং বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছেন। মুসল্লিম পক্ষের হামলার ঘটনায় তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা যুব অধিকার পরিষদের সহসভাপতি মো. মহিবুল্লাহ এনিম বলেন, ঝগড়ার আগে প্রশাসন উভয় পক্ষকে নিয়ে বসেছিল ও সমাধান দেওয়া হয়েছিল। পরে কীভাবে পরিস্থিতির অবনতি হলো, তা তিনি জানেন না।
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহামুদুল হাসান জানান, ‘বিরোধ মীমাংসার জন্য গত শনিবার দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করা হয় এবং বিরোধী পক্ষের পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছিল। আজ যারা হামলা করেছে—তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঘটনাটি কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।
একুশে সংবাদ//এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

