চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে রবিউল আউয়াল উপলক্ষে আয়োজিত জুলুসকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রশাসনের ব্যর্থতা অভিযোগ করেছে দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
রবিবার(০৭ সেপ্টেম্বর)এক সংবাদ সম্মেলনে মহাপরিচালক মুফতি খলীল আহমদ কাসেমী লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন, কথিত নামধারী সুন্নীরা মাদ্রাসার সামনে উস্কানিমূলক আচরণ, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও কটূক্তি করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে এবং রাতে বাজারে যাওয়া ছাত্রদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে শতাধিককে আহত করেছে।
তিনি আরও জানান, এ সময় শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী ও কায়েদে মিল্লাত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর (রাহ.) কবরের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে। বর্তমানে ৩০–৩৫ জন ছাত্র গুরুতর আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হেফাজতপক্ষের দাবি, হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, উস্কানিমূলক পোস্ট দেওয়া ব্যক্তিদের গ্রেফতার, আহত ছাত্রদের চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবহেলার তদন্ত এবং ভবিষ্যতে হাটহাজারী এলাকায় জুলুস বা মাজারকেন্দ্রিক গাড়ি থেকে গান-বাজনা ও স্লোগান নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী নামানো হয়। আজ বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সার্কেল কর্মকর্তার নেতৃত্বে উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
একুশে সংবাদ/চ.প্র/এ.জে
 
    
 
                        

 
                                         
                                             
                                                        
                             একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন 
												 
												 
												 
												 
												 
												 
												 
												 
                                             
                                             
                                             
                                            
