AB Bank
  • ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ফসলি জমিতে চেয়ারম্যানের মাছের ঘের তৈরির চেষ্টা, ১৪৪ ধারা জারি


Ekushey Sangbad
নাজমুল হাসান, ডাসার, মাদারীপুর
০৬:৩০ পিএম, ২২ আগস্ট, ২০২৫

ফসলি জমিতে চেয়ারম্যানের মাছের ঘের তৈরির চেষ্টা, ১৪৪ ধারা জারি

মাদারীপুরের ডাসার উপজেলায় ফসলি জমিতে জোরপূর্বক মাছের ঘের নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম ভাষাই শিকদারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা আদালতে মামলা করলে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ওই স্থানে ১৪৪ ধারা জারি করেন। এতে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডাসার ইউনিয়নের গোপালসেন, কালাইতলা ও জ্বীনবাড়ি মৌজার ৭৫–৮০ একর জমিতে শতাধিক কৃষক দীর্ঘদিন ধরে ধান চাষ করে আসছেন। কৃষক পরিবারের পাশাপাশি বহু শ্রমজীবী মানুষের জীবিকা এই কৃষি ফসলের উপর নির্ভরশীল। সম্প্রতি ওই জমির কিছু অংশ ভাড়া নিয়ে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে মাছের ঘের তৈরি করতে থাকেন চেয়ারম্যান রেজাউল করিম।

এতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হলে স্থানীয়রা উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। তদন্তে ডাসার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, ৭৫–৮০ একর জমির মধ্যে ৩৫–৪০ একর জমি মাটি কেটে ঘের নির্মাণ করলে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হবে। এছাড়া ফসলি জমি নষ্ট করে মাছের খামার করার কোনো আইনগত সুযোগ নেই।

তবুও নির্মাণকাজ বন্ধ না হওয়ায় ভুক্তভোগী কৃষক হানিফ মোল্লা আদালতে মামলা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ আগস্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ১৪৪ ধারা জারি করেন এবং শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশকে নির্দেশ দেন। ২২ আগস্ট পর্যন্ত এ ধারা বহাল রয়েছে। একই সঙ্গে উপজেলা ভূমি সহকারী কমিশনারকে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কৃষক হানিফ মোল্লা বলেন, “আমার জমিতে চেয়ারম্যান জোর করে ঘের নির্মাণের চেষ্টা করছেন। এতে ফসল উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে, আমি ও আমার পরিবার না খেয়ে মরব।”

স্থানীয় বাসিন্দা শাহীন মাতুব্বর জানান, তাদের পরিবার কয়েক প্রজন্ম ধরে ধান চাষ করে আসছে। কিন্তু চেয়ারম্যানের ঘের হলে তাদের জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে। অপরদিকে সুজন মাতুব্বর বলেন, “এখানে ঘের হলে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যে বিরূপ প্রভাব পড়বে। আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিক।”

অভিযুক্ত চেয়ারম্যান রেজাউল করিম ভাষাই শিকদার বলেন, “আমি কিছু কৃষকের জমি লিজ নিয়েছি। সেখানে ফসল হয় না বলেই তাদের সম্মতিতে মাছের ঘের তৈরি করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য একটি পক্ষ বাধা দিচ্ছে।”

ডাসার থানার এসআই সুবির চন্দ্র সূত্রধর জানান, আদালতের নির্দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। দুই পক্ষকেই আইন মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সাইফ-উল-আরেফীন বলেন, “ফসলি জমিতে মাছের ঘের নির্মাণের কোনো সুযোগ নেই। কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

একুশে সংবাদ/মা.প্র/এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!