গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের গচাপাড়া গ্রামের একটি সংখ্যালঘু পরিবারের উপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে আদালতে মামলা দায়ের করা হলে অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য বাদীকে নিয়মিত জীবননাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
জীবনের নিরাপত্তার অভাবে মামলার বাদী অশোক চৌধুরী বর্তমানে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তিনি গচাপাড়া গ্রামের অমর চাঁদ চৌধুরীর ছেলে ও দক্ষিণ গচাপাড়া মন্ডলপাড়ার একজন মুদি ব্যবসায়ী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ জুলাই দুপুর ১২টার দিকে ব্যবসায়ী অশোক চৌধুরী অবদারহাট থেকে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় যুবলীগ নেতা পারভেজ ফকির, তার ভাই নুর ইসলাম ও হিমু খানসহ কয়েকজন তার পথরোধ করে মাহিয়া ফিলিং স্টেশনে নিয়ে যায়। সেখানে বসে তাকে মারধর করে নগদ ৩০ হাজার টাকা, দুটি মোবাইল ফোন ও মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া ১০০ টাকার তিনটি ফাঁকা নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়।
পরবর্তীতে ১০ জুলাই অশোক চৌধুরী বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
অশোক চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, “পারভেজ ফকির, নুর ইসলাম, হিমু খানসহ আরও কয়েকজন আমাকে অন্যায়ভাবে মারধর করে টাকা, মোবাইল ও মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়েছে। মামলার পর থেকে তারা আমাকে প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।”
এ বিষয়ে যুবলীগ নেতা নুর ইসলাম ও হিমু খানের কাছে জানতে চাইলে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোটালীপাড়া থানার এসআই উত্তম কুমার সেন বলেন, “অশোক চৌধুরীর দায়ের করা মামলার তদন্ত চলছে। শিগগিরই মহামান্য আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।”
একুশে সংবাদ/গো.প্র/এ.জে