শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, পর্যায়ক্রমে ঠাকুরগাঁও জেলাকে শিশু শ্রম মুক্ত ঘোষণা করা হবে। শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি, কর্মস্থলে নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করতে শ্রম মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।
শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ফেসরাডাঙ্গী এলাকায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সচিব। তিনি আরও জানান, শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নতুন আইন প্রণয়নের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে, যা ভবিষ্যতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
তবে সচিবের বক্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঠাকুরগাঁওয়ে শিশু শ্রম মুক্ত বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় সাংবাদিকরা। সাংবাদিক জোহা লেখেন, "ঠাকুরগাঁও শিশু শ্রম মুক্ত হয়েছে শুনে ভালো লাগলো, তবে বাস্তবে হয়েছে তো? নিম্নবিত্ত অনেক শিশুর আয়ে চলে তাদের পরিবার। শিশু শ্রম বন্ধ হলে তাদের চুলা জ্বলবে তো? নাকি শুধু কাগজে-কলমে?"
সাংবাদিক নেতা তানভির হাসান তানুও প্রশ্ন তোলেন, “ঠাকুরগাঁও কি সত্যিই শিশু শ্রম মুক্ত হয়েছে?”
এদিকে অনুষ্ঠানে আলোচনার ফাঁকে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাবেক কর্মচারী ও কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক শহিদুল ইসলামের দুর্নীতির অভিযোগ বিষয়েও সচিবের কাছে প্রশ্ন তোলেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।
তারা জানান, শহিদুল ইসলামকে দুর্নীতির অভিযোগে বদলি করা হয় এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। এরপরও তাকে আবার হরিপুর উপজেলা পরিষদে একই পদে কেন পুনর্বহাল করা হলো – তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
এই বিষয়ে সচিব জানান, বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এবং তারা তা খতিয়ে দেখবেন।
জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, শহিদুলের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা চলছে এবং তার কার্যক্রম প্রশাসনের নজরদারিতে রয়েছে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ওমর মো. ইমরুল মহসিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাইরুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তা।
পরে অতিথিরা ফেসরাডাঙ্গী সড়কের পাশে বৃক্ষরোপণের পাশাপাশি শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করেন।
একুশে সংবাদ/ঠা.প্র/এ.জে