চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সন্তানের হাতে পিতা হত্যার অভিযোগে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে দিঘিরপাড় এলাকার বি.এ. সুলতান মাষ্টার বাড়ির সামনে একটি পুকুর থেকে মোহাম্মদ এনাম (৬০) নামের এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত এনামের পিতা মৃত দেলোয়ার হোসেন। এনাম দীর্ঘদিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন এবং চোখেও ভালো দেখতে পেতেন না। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, পরিবারের সদস্যদের কাছে প্রায়ই তিনি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে পুকুরে একটি ব্যাগ ভাসতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। পরে পুকুরপাড়ে নিহত এনামের লুঙ্গি ও জুতা পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় সন্দেহভাজন হিসেবে বড় ছেলে মোবারক হোসেনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সদুত্তর না দিয়ে উল্টো এলাকাবাসীকে গালাগাল করেন।
বিকেলে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় এনামের মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে ফটিকছড়ি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের প্রতিবেশী মোহাম্মদ জসিম বলেন, “পরিবারের সদস্যরা প্রায়ই এনাম চাচাকে মারধর করতেন। গতকাল রাতেও বড় ছেলে তাকে মারধর করে ঘরের বাইরে তালা লাগিয়ে রাখে।”
এ ঘটনায় এলাকাবাসীর দাবি, পরিবারের সদস্যদের নির্যাতনে এনামের মৃত্যু হয়েছে এবং পরে তার লাশ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তারা সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন।
ঘটনার পরপরই পুলিশ নিহতের বড় ছেলে মোবারক হোসেন, স্ত্রী পারভিন আক্তার, মেয়ে মুন্নি এবং শ্যালক আবুল কালামকে থানায় নিয়ে গেছে।
ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, “ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
একুশে সংবাদ/চ.প্র/এ.জে