আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-০২ (ফটিকছড়ি) আসন থেকে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন উপজেলার পরিচিত মুখ, তরুণ সমাজসেবক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হাফেজ মাওলানা আশরাফ বিন ইয়াকুব।
মাওলানা আশরাফ বিন ইয়াকুব উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের বাবুনগর গ্রামের বিশিষ্ট আলেম মরহুম মাওলানা ইয়াকুবের সন্তান এবং এক সময়ের উত্তর চট্টগ্রামের খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ শহীদ ইকবাল বিন ইয়াকুবের ছোট ভাই।
তাদের পিতামহ আল্লামা কারী কেরামত আলী সাহেব রহ. ছিলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম হযরত হোসেন আহমদ মাদানী রহ. এর শাগির্দ ও খলিফা। তিনি বাবুনগর মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও শিক্ষক হিসেবে দীর্ঘকাল দ্বীনি খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন। তাঁর অসংখ্য শাগির্দের মধ্যে অন্যতম বর্তমান হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর, আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী (দা.বা.)। তিনি প্রিয় ওস্তাদের নাতি হিসেবে আশরাফ বিন ইয়াকুবকে স্নেহভরে সম্বোধন করেন, যা আশরাফের জন্য একান্ত সৌভাগ্যের বিষয়।
মাওলানা আশরাফ বিন ইয়াকুব নিজেকে পরিবারের রাজনৈতিক ও সামাজিক ঐতিহ্যের ধারক উল্লেখ করে বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। ইসলামি শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের রাজনীতির পাশাপাশি হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক ইস্যুতে আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন।
তিনি একাধারে সমাজ, শিক্ষা, ব্যবসা এবং দ্বীনি অঙ্গনে সক্রিয় ও প্রশংসিত ব্যক্তিত্ব। তিনি আন নূর শাহ কেরামত আলী মহিলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক, শহীদ ইকবাল বিন ইয়াকুবের প্রতিষ্ঠিত আল আরাফাত ইসলামিক একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। একই সঙ্গে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক, চট্টগ্রাম মহানগর ওলামা পরিষদের সেক্রেটারি, রিয়াজউদ্দিন বাজার জলসা মার্কেট ব্যবসায়ী পরিষদের সভাপতি এবং আন্তর্জাতিক ক্বেরাত মাহফিল সংস্থার উপদেষ্টাসহ বহু সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “বিগত সময়ে উপযুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ ছিল না। তাই রাজনীতির মাঠ থেকে দূরে থেকে সামাজিক ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলাম। তবে এখন দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পাল্টে যাচ্ছে। আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুতি নিয়েছি। পাশাপাশি উপযুক্ত রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম পেলে দলে যোগ দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করব।”
তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে বিভিন্ন ইসলামিক রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তির পক্ষ থেকে নির্বাচনী প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে যোগাযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি পরামর্শ চালিয়ে যাচ্ছেন।
পরিবারের রাজনৈতিক ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করে আশরাফ বলেন, “আমার মরহুম পিতা ও ভাই আমৃত্যু রাজনীতির সঙ্গে থেকে চট্টগ্রাম তথা ফটিকছড়ির উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন। আমি ছাত্রজীবন থেকেই সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করছি। দেশে এখন পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। আমি বিশ্বাস করি আগামী দিনে তারুণ্যনির্ভর নেতৃত্বের প্রয়োজন। সেই জায়গায় ভূমিকা রাখতে চাই।”
নেতৃত্বের যোগ্যতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দেশের মানুষ এখন উদ্যমী, সৎ ও দক্ষ নেতৃত্বের আশা করে। আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আমার পূর্বসূরিরা সততা, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেমের সঙ্গে রাজনীতি করে জনগণের ভালোবাসা অর্জন করেছেন। আমিও সে পথেই সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে চাই।”
একুশে সংবাদ/চ.প্র/এ.জে