চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে বস্তায় আদা চাষ শুরু করেছেন প্রান্তিক কৃষকরা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ও প্রণোদনায় ২০টি প্রদর্শনীর মাধ্যমে এই ব্যতিক্রমী চাষাবাদ শুরু হয়েছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, "পারিবারিক পুষ্টি বাগান কর্মসূচি"র আওতায় প্রত্যেকটি প্রদর্শনীতে ব্যবহার করা হয়েছে ৩০টি বস্তা, যেখানে রয়েছে উন্নত জাতের ২ কেজি ৫০০ গ্রাম আদার বীজ, ৫ কেজি মিশ্র সার, ২ কেজি বালাইনাশক এবং প্রয়োজনীয় জৈব সার। প্রতিটি বস্তায় খরচ পড়েছে আনুমানিক ৬৫ থেকে ৭০ টাকা।
উপজেলার কধুরখীল, শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ও করলডেঙ্গা এলাকাতেও কৃষকরা স্ব উদ্যোগে বস্তায় আদা চাষ শুরু করেছেন। প্রাথমিকভাবে ১,০০০ বস্তায় আদা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও, চাষের পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আতিক উল্লাহ।
শনিবার সরেজমিনে উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়নের কঞ্জুরি ও আমুচিয়া ইউনিয়নের ধোরলা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির পাশে পতিত জমি, আঙিনা ও পুকুর পাড়ে সারি সারি বস্তায় সবুজ আদা গাছ গজিয়েছে।
প্রথমবারের মতো বস্তায় আদা চাষ করা কৃষক তপন চৌধুরী, সুমা বৈদ্য ও রাণু আলম বলেন, "ছায়াযুক্ত যেসব জায়গায় ফসল হতো না, সেখানে এবার কৃষি অফিসের পরামর্শে বস্তায় আদা চাষ করেছি। বীজ রোপণের পর বিশেষ যত্ন নিতে হয়নি। আদা বেশ ভালো হয়েছে, আশা করছি দুই-এক মাসের মধ্যেই বস্তাগুলো থেকে আদা উত্তোলন করা যাবে। প্রতিটি বস্তা থেকে দেড় থেকে দুই কেজি ফলন হবে।"
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আতিক উল্লাহ বলেন, “বস্তায় আদা চাষ একটি সহজ, সাশ্রয়ী ও লাভজনক পদ্ধতি। বাড়ির আঙিনা, পুকুরপাড় কিংবা ছাদের মত জায়গায় সহজেই এই চাষাবাদ সম্ভব। এতে পরিচর্যার ঝামেলা কম এবং আগাছা হয় না। কৃষকদের এই নতুন পদ্ধতিতে চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং ভবিষ্যতে এর পরিধি আরও বাড়বে বলে আশা করছি।”
একুশে সংবাদ//র.ন