পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হিসেবে চিহ্নিত ইউক্যালিপ্টাস ও আকাশমণি গাছের চারা ধ্বংস কার্যক্রম শুরু করেছে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি অফিস।
বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে উপজেলা কৃষি অফিস চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে ৪৫ হাজার চারা ধ্বংস কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন।
এ সময় উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ, উপজেলা নার্সারি মালিক সমিতির সভাপতি খাইরুল ইসলাম খান, সহ-সভাপতি মো. ফজলুল হক, বিভিন্ন নার্সারি মালিকসহ স্থানীয় সচেতন মহল উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ইউক্যালিপ্টাস ও আকাশমণি গাছ রাক্ষুসী প্রজাতির এবং পরিবেশ ও মাটির জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় সরকার এসব গাছ রোপণে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার ২৯টি নার্সারি থেকে সংগৃহীত মোট ১ লাখ ২৭ হাজার চারা ধ্বংসের জন্য অনুমোদন চাওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রাথমিকভাবে ৪৫ হাজার চারা ধ্বংসে অনুমতি প্রদান করে এবং প্রতি চারার জন্য ৪ টাকা করে প্রণোদনা নির্ধারণ করে।
উপজেলা নার্সারি মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মো. ফজলুল হক বলেন,“আমরা সরকারের নির্দেশনা মেনে ভবিষ্যতে ইউক্যালিপ্টাস ও আকাশমণি জাতীয় চারা তৈরি ও বিক্রি থেকে বিরত থাকবো।”
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন বলেন,“পরিবেশের ক্ষতিকর এসব গাছের চারা এখনো উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রয়েছে। নার্সারি মালিক ও সাধারণ জনগণকে নিজ উদ্যোগে সেগুলো ধ্বংস করতে হবে। অন্যথায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউক্যালিপ্টাস ও আকাশমণি গাছ প্রচুর পানি শোষণ করে এবং স্থানীয় জীববৈচিত্র্য ও কৃষিকাজের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই পরিবেশ রক্ষায় এসব গাছের চারা উৎপাদন ও রোপণে নিরুৎসাহিত করছে সরকার।
একুশে সংবাদ/শে.প্র/এ.জে