AB Bank
  • ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই, ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

পলাশে গাছের থোকায় থোকায় ঝুলছে সুস্বাদু লটকন


Ekushey Sangbad
সাব্বির হোসেন, পলাশ, নরসিংদী
১২:২৬ পিএম, ২ জুলাই, ২০২৫

পলাশে গাছের থোকায় থোকায় ঝুলছে সুস্বাদু লটকন

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় সুস্বাদু মিষ্টি লটকনের চাষে কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলছে। এ উপজেলার ঘোড়াশাল ও রাবানের আনারসের পরই সুমিষ্ট লটকন চাষে এগিয়ে এসেছে ফল চাষীগণ।  উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে লটকন গাছের মগডালে থোকায় থোকায় ঝুলছে লটকন ফল।

সুস্বাদু লটকন ফল এখন পছন্দের তালিকায় সবার। এ ফল লাভজনক থাকায় পলাশের ব্যবসায়ীরাও লটকন বিক্রিতে ঝুকেছে। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও সড়কের মোড়ের ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতেও শোভা পাচ্ছে লটকন ফলের ঝুড়ি। আর উপজেলার ক্রেতা ছাড়াও ঢাকার আশে পাশের জেলার ক্রেতারও এসব হাট-বাজার থেকে লটকন ফল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

লটকন চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পাচ্ছেন চাষিরাও। আর্থিক লাভের কারণে চাষিদের মধ্যে লটকন চাষে উৎসাহের পাশাপাশি প্রতি বছরই এখানে বাড়ছে বাগানের সংখ্যা। বর্তমানে উপজেলার জিনারদীর লালমাটির টেঙ্গর এলাকা থেকে প্রতিদিন শত শত মণ লটকন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে যাচ্ছে। এছাড়া দেশের পাশাপাশি বিদেশেও এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি লটকন ১০০ থেকে ১৫০  টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

পলাশে ২০ বছর আগেও লটকনের স্বতন্ত্র বাগান ছিল না। তখন অন্যান্য ফলগাছের সাথেই দু-একটি গাছ লাগানো হতো। লটকন চাষীরা জানান, পূর্বসময়ে লটকনের তেমন চাহিদা ছিল না, দামও ছিল কম, সে কারণে কেউ লটকনের স্বতন্ত্র বাগান করার চিন্তা করত না। বর্তমানে চাহিদা ও মূল্য দু’টিই বেড়েছে।

উপজেলার রাবান, বরাবো, কুড়াইতলী, কাঁটাবের, ভালুকাপাড়া  ও বরাবোসহ জিনারদীর ৩১টি গ্রামের প্রায়ই সব এলাকায় ফল চাষীরা বাড়ির আঙ্গিনায় গড়ে তুলেছেন লটকন বাগান। এই সব এলাকা ঘুরে দেখা গেছে প্রায় সব জায়গায়ই গাছে লটকন ঝুলে আছে থোকায় থোকায়। গাছে গাছে পাকা কাঁচা লটকনের সমাহার। নয়নাভিরাম মনকাড়া এক সুন্দর দৃশ্য। 

লটকন চাষী সমির দাস জানান, আম, কাঁঠাল আর আনারসের সাথে লটকন এখন আমাদের আর একটি অর্থকড়ি ফল। গ্রীস্মকালীন ফল হিসেবে লটকন আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন এনে দিয়েছে। এবার জঙ্গলের ফল লটকন পেয়েছে জিআই পণ্যের শিকৃতি।

অন্যান্য ফলের চেয়ে লটকনের ফলন অনেক বেশি হয় বলে কৃষকেরাও অধিক লাভবান হচ্ছেন। লটকন গাছের কাণ্ডে এবং ডালপালায় ফলে। গাছের পুষ্টির সুষমতা ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গাছের গোড়া থেকে প্রধান কাণ্ডগুলোতে থোকায় থোকায় এত বেশি ফল আসে যে, তখন গাছের কাণ্ড বা ডাল দেখা যায় না।

লটকন চাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মৌসুম খরাতে পড়ায় লটকনের গুটি ঝরে যাওয়ায় ফলন অনেক কমে গেছে। রাবানের প্রান্ত মিত্র, পলাশতলীর জীবন মিত্র কুড়াইতলীর তাপস পাল একই কথা বলেছেন। তারা বলেছেন এবার ফলন গতবারের চেয়ে অনেকাংশে কম হয়েছে। এদিকে আরেক চাষী পরিতোষ রায়ের বাগান ৭১ শতাংশ, রামকৃষ্ণ রায়ের ১৪২ শতাংশ। তাদের বক্তব্যও এবার বৈরী খরার কারনে ফলন ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

পলাশ উপজেলা কৃষি অফিসার আয়েশা আক্তার জানান, উপজেলায় এবার ৮ হেক্টর জমিতে লটকন চাষ হয়েছে। যত দিন যাচ্ছে লটকন চাষে চাষীদের মধ্যেও আগ্রহ বাড়ছে।

 

একুশে সংবাদ/ন.প্র/এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!