জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। চলতি বছরেই নতুন করে প্রায় ২৪ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছে, আর ঝুঁকিতে রয়েছে প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ মানুষ। এই সংকট মোকাবেলায় স্থানীয় পর্যায়ে কী কী উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে—তা নির্ধারণে ফরিদপুরে একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৩০ জুন) সকাল ১০টায় ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালার আয়োজন করে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা রামরুর সহযোগিতায়।
কর্মশালার শিরোনাম ছিল: “বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর জন্য স্থানীয় সমাধান ও পরিষেবা তৈরি”।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সোহরাব হোসেন। তিনি বলেন,“জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ হলেও এর সরাসরি প্রভাব পড়ে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ওপর। এই সংকট মোকাবেলায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বিত উদ্যোগের কোনো বিকল্প নেই।”
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিন্টু বিশ্বাস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুস্মিতা সাহা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এম এ সামাদ, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক আলী আহসান, আইওএমের প্রজেক্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট মো. মেহেদি হাসান, রামরুর প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. আফজাল হোসেন, ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার রায়হানা রহমান, এফডিএ’র উপদেষ্টা মো. আজহারুল ইসলাম, পরিচালক মো. ছাহের ইসলাম, ফরিদপুর মুসলিম মিশন কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল আল মামুন, ব্লাস্টের সমন্বয়কারী শিপ্রা গোস্বামী প্রমুখ।
মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, জলবায়ুজনিত বাস্তুচ্যুতি এখন আর ভবিষ্যতের সম্ভাবনা নয়, এটি বর্তমানে বিদ্যমান একটি কঠিন বাস্তবতা। শুধু আশ্রয়কেন্দ্র বা ত্রাণ নয়, প্রয়োজন সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি—যেখানে পুনর্বাসন, সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিতের দীর্ঘমেয়াদি কৌশল অন্তর্ভুক্ত থাকবে। স্থানীয় প্রশাসন ও উন্নয়ন সংস্থার সম্মিলিত প্রচেষ্টায়ই এ সংকটের টেকসই সমাধান সম্ভব।
একুশে সংবাদ/ফ.প্র/এ.জে