পদ্মা-মেঘনা নদীতে পানি বৃদ্ধি ও বৃষ্টির প্রবণতা বাড়লেও চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ইলিশের সরবরাহ অনেক কম। ইলিশের চাহিদা যেমন আছে, ক্রেতার উপস্থিতিও বেশ ভালো। তবে চড়া দাম শুনে খুব কম ক্রেতা ইলিশ কিনছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় দাম চড়া। এই ঘাটে আগে প্রতিদিন গড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ মণ ইলিশ বেচাকেনা হতো। এখন ৫০ থেকে ১০০ মণে এসে দাঁড়িয়েছে।
সোমবার (৩০ জুন) সকাল থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ক্রেতারা মাছঘাটে আসেন। কেউ দুটি, আবার কেউ কেউ ৫-৭টি ইলিশ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া কিছু ক্রেতা দাম শুনে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন।
ঢাকা থেকে চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাটে আসা পারভেজ বলেন, ‘আমরা চার বন্ধু ঢাকা থেকে লঞ্চ যোগে চাঁদপুর বড় স্টেশন তিন নদীর মোহনায় ঘুরতে এসেছি। মোহনার পাশে ইলিশ ঘাট। যার কারণে মাছ দেখতে এসেছি। তবে এখানে এসে ভিন্ন অভিজ্ঞতা। ইলিশের স্তূপ নেই আবার দামও বেশি। পুরো আড়ত ঘুরে দেখছি সম্ভব হলে ইলিশ কিনে নিয়ে যাবো।’
ঘাটের ইলিশ ব্যবসায়ী নবীর হোসেন বলেন, ইলিশের মৌসুম চলছে, কিন্তু চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীতে জেলেদের জালে ইলিশ কম ধরা পড়ছে। সারা দেশে চাঁদপুরের ইলিশের ব্যাপক চাহিদার অনুপাতে বাজারে মাছের আমদানি কম। আগে ট্রলারে করে দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশ চাঁদপুর মাছঘাটে আসত ৪০০ থেকে ৫০০ মণ। কিন্তু পদ্মা সেতু হওয়ার পর সেই মাছ এখন আর এই ঘাটে আসে না। এখন ঘাটে সরবরাহ ৫০ থেকে ১০০ মণ। সামনে ইলিশের ভরা মৌসুম, নদীর পানি ও বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ইলিশ ধরা পড়বে, তখন দাম কমবে বলে জানান এই ব্যবসায়ী।
আড়তের আরেক ব্যবসায়ী ফারুক বলেন, ‘মাছঘাটে আসা এখনকার ইলিশের সাইজ বড়। এখনকার ইলিশ স্থানীয় নদীর। শুক্রবার থাকায় ক্রেতা সমাগম বাড়লেও বিক্রি কম। অধিকাংশ ক্রেতারা দরদাম যাচাই করে না কিনে চলে যায়। যার কারণে কিছু ইলিশ সরবরাহ থাকলে আগের মতো বিক্রি নেই।’
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক সবেবরাত সরকার বলেন, বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকায়। আর ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা। এ ছাড়া এক কেজি ওজনের বড় ইলিশ ২ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/চাঁ.প্র/এ.জে