ছয় দফা ন্যায্য দাবির বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় স্বাস্থ্য সহকারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন উপজেলা হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা।
একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুনকর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, টিকাদান একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও কারিগরি (টেকনিক্যাল) কার্যক্রম। বাংলাদেশে নবজাতক থেকে শুরু করে শিশু বয়স পর্যন্ত ১০টি মারাত্মক রোগ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য সহকারীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অথচ তারা এখনো টেকনিক্যাল স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত এবং ন্যায্য বেতন-ভাতাও নিশ্চিত হয়নি।
স্বাস্থ্য সহকারীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে:
১. নির্বাহী আদেশে নিয়োগবিধি সংশোধন
২. শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে স্নাতক/সমমান নির্ধারণ
৩. স্বাস্থ্য সহকারীদের টেকনিক্যাল ক্যাডারে অন্তর্ভুক্তি
৪. জাতীয় বেতন স্কেলে ১৪তম গ্রেড প্রদান
৫. দীর্ঘদিনের বঞ্চনার নিরসন
৬. চাকরি স্থায়ীকরণ এবং পদোন্নতির সুযোগ প্রদান।
কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ মোমিন। বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি মো. রেজাউন্নবী, শামীমা নাছরিন, শাহিনুর রহমান; সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুব আলম; সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ পারভেজ; কোষাধ্যক্ষ নাজিমউদ্দিন; সদস্য সেলিম মণ্ডল, নাদিরা সুলতানা, পলি রানী, মোমেনা বেগমসহ আরও অনেকে।
বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন না করা হয়, তবে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ইপিআইসহ সকল টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে। এতে দেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সভাপতি এম এ মোমিন বলেন, “আমরা দেশের গুরুত্বপূর্ণ টিকাদান কর্মসূচিতে নিরলসভাবে কাজ করি, কিন্তু আজও টেকনিক্যাল স্বীকৃতি ও ন্যায্য বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত। ছয় দফা দাবি আমাদের ন্যায্য অধিকার। দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ইপিআইসহ সব কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হব।”
কর্মসূচির ফলে সাময়িকভাবে টিকাদান কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। স্বাস্থ্য সহকারীরা আশা করছেন, সরকার তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং এই বঞ্চনার অবসান ঘটবে।
একুশে সংবাদ/জ.প্র/এ.জে
