রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের টানা তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আনিছুর রহমান (৫৩) ভারতে যাওয়ার পথে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্তৃক আটক হয়েছেন।
রোববার (২২ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে চিকিৎসা ভিসায় ভারতে প্রবেশের সময় বেনাপোল চেকপোস্টে পাসপোর্ট যাচাই-বাছাইয়ের সময় তাঁর নামে একটি মামলার তথ্য ডাটাবেজে শনাক্ত হলে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে আটক করে।
আটক আনিছুর রহমান রংপুর সদর উপজেলার কোতোয়ালি থানার ইকোরচালি গ্রামের বাসিন্দা এবং আব্দুস সাত্তার মিয়ার ছেলে। তার পাসপোর্ট নম্বর: A14990561।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইলিয়াস হোসেন মুন্সী জানান, "পাসপোর্ট স্ক্যান করার সময় ডাটাবেজে আনিছুর রহমানকে একটি মামলার আসামি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। যাচাই-বাছাই করে জানা যায়, তাঁর বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বর রংপুর কোতোয়ালি মেট্রো থানায় একটি মারামারির মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি নম্বর: ০৭। ধারা: ১৪৩, ১৪৮, ৩২৪, ৩২৫, ৩২৬, ৩০৭, ৫০৬ ও ১১৪।"
তিনি আরও বলেন, আনিছুর রহমানকে আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি রাসেল মিয়া বলেন, "আটক রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং উচ্চপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী তাকে রংপুর কোতোয়ালি মেট্রো থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।"
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান বলেন, "আমি সবসময় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে তারাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। আমার বিরুদ্ধে কোনো মামলা রয়েছে তা আমি জানতাম না। বিষয়টি আমার জন্য বিস্ময়কর।"
ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ইমিগ্রেশন ও পুলিশের মধ্যে সমন্বিত ডাটাবেজ চালু হওয়ায় সীমান্তপথে পলাতক আসামিদের আটকে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত কয়েক দিনের ব্যবধানে বেনাপোল চেকপোস্ট থেকে ৪ জন মামলার তালিকাভুক্ত পলাতক আসামিকে আটক করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/য.প্র/এ.জে