ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বকনা বাছুর বিতরণে দুর্নীতির ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (১ জুন) বেলা ১১টায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে বাছুর বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠানে এ অভিযোগ করেন জেলেরা।
এ প্রকল্পের সুবিধাভোগী একাধিক জেলে জানান, বিতরণ করা বাছুরগুলো অত্যন্ত রোগা এবং দুর্বল, যা লালনপালনে অতিরিক্ত খরচ ও সময় লাগবে। এছাড়াও ইলিশ জেলে না এমন ব্যক্তিদেরও এসব বাছুর দেয়া হয়েছে। তাদের দাবি, প্রকল্পের প্রতিটি বাছুরের জন্য ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ হলেও সরবরাহকৃত বাছুরগুলোর বাজারমূল্য ১২-১৫ হাজার টাকার বেশি হবে না।
এক জেলে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই বাছুর বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছবে কি না জানি না। রোগাক্রান্ত বাছুর এই বর্ষা মৌসুমে কিভাবে বাঁচিয়ে রাখব?
আরেক উপকারভোগী জেলের স্ত্রী জানান, এ বাছুরের যে অবস্থা তাতে আমার ছোট বাচ্চা লালনপালন করব নাকি এই বাছুর লালনপালন করব? এমন দেয়ার চেয়ে না দেয়া ভালো ছিল।
বিষয়টি নিয়ে সদরপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মেহেদি হাসান বলেন, এ বাছুরগুলো ঠিকাদারের মাধ্যমে আনা হয়েছে। মূলত ঈদের সময় বাজেটের মধ্যে এর থেকে ভালো বাছুর পাওয়া যায় না। কিছু কিছু বাছুর নিয়ে আমাদের মন খারাপের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকিয়া সুলতানা জানান, রোগাক্রান্ত বাছুর বিতরণের বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
উল্লেখ্য, ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যে প্রতিবছর নিষেধাজ্ঞার সময় ইলিশ ধরা বন্ধ রাখেন জেলেরা। বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সরকার বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করে থাকে, যার একটি অংশ হিসেবে এসব বাছুর বিতরণ করা হয়। তবে বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ প্রকল্পের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন জেলেরা।
স্থানীয় সচেতন মহল এবং জেলেরা প্রকৃত উপকারভোগীদের চিহ্নিত করে মানসম্মত সহায়তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
একুশে সংবাদ / ফ.প্র/এ.জে