আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় কোরবানির পশুর চাহিদার চেয়ে কয়েক হাজার পশু বেশি প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। স্থানীয় চাহিদা পূরণের পর অতিরিক্ত পশুগুলো জেলার অন্যান্য উপজেলায় বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা।
এ বছর দেশের বাইরে থেকে কোরবানির পশু আমদানি না হওয়ায় বাজারে চাহিদা বাড়বে এবং খামারিরা ভালো দাম পাবেন—এমনটাই আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চরভদ্রাসনে কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ৬ হাজার ৫০০টি। অথচ প্রস্তুত রয়েছে ১৫ হাজার ৪১০টি পশু। এর মধ্যে ষাঁড় ৩ হাজার ৭০০টি, গাভী ৫০০টি, মহিষ ১০টি, ছাগল ১০ হাজার ৫০০টি ও ভেড়া ৭০০টি। বলদ ও অন্যান্য শ্রেণির পশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য নয়।
উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন ছাড়াও অনেক গৃহস্থ নিজের বাড়িতে গরু-ছাগল পালন করছেন। খামার ও ঘরে পালন করা পশুগুলোর পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারি ও পশু ব্যবসায়ীরা। খামারে কেউ খাবার দিচ্ছেন, কেউ গোসল করাচ্ছেন। অনেক ক্রেতা আগেভাগেই খামারে গিয়ে পশু দেখে যাচ্ছেন, তবে তারা জানাচ্ছেন—সঠিক মূল্য ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তবেই পশু কিনবেন।
চরভদ্রাসন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রবিউল ইসলাম বলেন, "আশা করছি, এ বছর চরভদ্রাসনের খামারিরা পশুর ভালো দাম পাবেন। যেহেতু দেশের বাইরে থেকে পশু আমদানি হচ্ছে না, তাই স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত পশুরই চাহিদা বেশি থাকবে।"
একুশে সংবাদ / ফ.প্র/এ.জে