নাটোরের বড়াইগ্রামে খ্রিস্টান পরিবারের ২৬ শতাংশ জমি জবরদখল করে পাকা সড়ক ও পাকা ঘর নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তথা এসিল্যান্ড ও বনপাড়া পৌর প্রশাসক আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
আদালতের নির্দেশ অমান্য করাসহ তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগও করেন ভুক্তভোগীরা। বুধবার দুপুরে উপজেলার বনপাড়া বাজারে নিজস্ব জমিতে সমবেত হয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জমির মালিক সদস্যরা।
মানববন্ধনে জমির মালিক পক্ষের সদস্য লুইস কস্তা বলেন, বনপাড়া মৌজার ৮১৫ ও ১নং খতিয়ানের ১২৯নং দাগের মোট ২৬ শতক জমি আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি যা দীর্ঘ বছর বেদখল অবস্থায় রয়েছে। এ ব্যাপারে আদালতে দীর্ঘবছর মামলা চলমান ছিল এবং গত ২০২৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর তারিখে দেওয়ানী আপিল নং ১৫৫/১১ মামলার আদেশে জমি প্রাপ্তিতে ডিক্রি পাই। আদালত এই নালিশী জমির নামজারী ও খারিজকরতঃ জমির খাজনা গ্রহণের জন্য সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশ দিলেও তিনি এই আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজের ক্ষমতা বলে উল্টো জমির মধ্যে পাকা সড়ক ও পাকা ঘর নির্মাণ করেন। এই নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে আবেদন জানালেও তাতে কোনো কাজ হয়নি।
জমির অপর মালিক ফ্রান্সিস মহাবীর কস্তা জানান, আমাদের জমি বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য আদালত রায় দিলেও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক আশরাফুল ইসলাম তাতে কোনো প্রকার সম্মান জানাননি। বরং জমি জবরদখল করে সড়ক ও ঘর নির্মাণ করছেন। আমরা সংখ্যালঘু বলে আমাদের শক্তি কম। আমরা অসহায় বলে দীর্ঘ বছর জমি নিজেদের হওয়া সত্ত্বেও ভোগ করতে পারি নাই। আমরা এই জমি বুঝে দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
মানববন্ধন শেষে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জমি বুঝে পেতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌসের সাথে সাক্ষাৎ করেন ও লিখিত আবেদন পেশ করেন।
এ ব্যাপারে এসিল্যান্ড ও পৌর প্রশাসক আশরাফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে জানা যায়, তিনি একটি ট্রেনিংয়ের জন্য ঢাকায় অবস্থান করছেন।
একুশে সংবাদ / না.প্র/এ.জে