নওগাঁয় সরকারি ভিপি (ভূমি প্রজাস্বত্ব) সম্পত্তি দখলের চেষ্টার প্রতিবাদ ও প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভুক্তভোগী।
সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় শহরের মুক্তির মোড়স্থ পার্ক ভিউ রেস্টুরেন্টের সেমিনার কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন শহরের কাজীর মোড় এলাকার বাসিন্দা মৃত ইয়াকুব আলী কবিরাজের ছেলে আলহাজ্ব ইউসুফ আলী কবিরাজ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, নওগাঁ সদর উপজেলার কাজীর মোড়স্থ চকএনায়েত মৌজার সাবেক খতিয়ানভুক্ত ৫৭/৮০ নম্বরের সরকারি ভিপি কেসভুক্ত সম্পত্তির মধ্যে ২০ শতাংশের মধ্যে তিনি ৫ শতাংশ ভূমির ইজারাগ্রহীতা। দীর্ঘ প্রায় ৪৬ বছর ধরে নিয়মিত সরকারি রাজস্ব পরিশোধ করে শান্তিপূর্ণভাবে ওই সম্পত্তি ভোগদখল করে আসছেন।
সম্প্রতি শহরের কিছু ব্যক্তি—আব্দুল কাদেরের ছেলে লালন, করনেশন পাড়ার দহির উদ্দিনের ছেলে লিটন, মৃত সোলেমান আলীর ছেলে বাবু, হাবিব, রুবেল, রাহেন ও মানিক—মিলে একটি সঙ্ঘবদ্ধ ভূমিদস্যু চক্র তার ইজারাকৃত সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এসব ব্যক্তি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে একাধিকবার উক্ত সরকারি সম্পত্তি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, ইতিপূর্বে এই ভূমিদস্যুদের হাত থেকে ইজারাকৃত সরকারি সম্পত্তি রক্ষা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে তিনি নওগাঁ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার জন্য মামলা করেন এবং আদালত তার পক্ষে রায় দেন। এই সম্পত্তিটি তার বসতবাড়ির সামনে একমাত্র চলাচলের পথ হওয়ায় তা দখল হয়ে গেলে পরিবারসহ অবরুদ্ধ হয়ে পড়বেন বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
ইউসুফ আলী বলেন, তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এক লিখিত আদেশে উক্ত ভিপি সম্পত্তি অন্য কাউকে ইজারা না দিয়ে বর্তমান ইজারাগ্রহীতাকে পুনরায় ইজারা প্রদানের সুপারিশ করেন। তা সত্ত্বেও চক্রান্তকারীরা তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হয়রানি করে চলেছে। বর্তমানে তিনি ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতা এবং আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি সরকারের কাছে দাবি জানান, দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে তার পরিবারকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক এবং চলাচলের সুবিধার্থে উক্ত সম্পত্তির ইজারার মেয়াদ দীর্ঘমেয়াদী বা স্থায়ী ইজারায় রূপান্তরের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
সংবাদ সম্মেলনে তার ছেলে ইয়াছির আরাফাত নাহিদও উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত লালন বলেন, “আমি কারও সম্পত্তি দখল করিনি, আমার পৈতৃক সম্পত্তির ওপর দোকান নির্মাণ করেছি। যেহেতু জায়গাটি সরকারি, তাই জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখার দাবিতে আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছি।”
একুশে সংবাদ/ন.প্র/এ.জে