খাল ও সড়কবিহীন দাঁড়িয়ে আছে সেতু

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুশঙ্গল ইউনিয়নের ফয়রা এলাকায় একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে, কিন্তু সেটির নিচে নেই কোনো খাল, আর দুই পাশে নেই কোনো সংযোগ সড়ক। ফলে কোটি টাকার এই অবকাঠামো এখন কোনো কাজেই আসছে না।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় পাঁচ বছর আগে নির্মাণ করা হয় এই সেতুটি। তবে সেতুর নিচে নেই কোনো জলাধার বা খাল এবং দুই পাশে নেই রাস্তার সংযোগ। ফলে এলাকাবাসীর কোনো কাজে আসছে না এই অবকাঠামো। স্থানীয়রা বলছেন, এটি সরকারি অর্থের অপচয়ের একটি জ্বলন্ত উদাহরণ।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সেতুটির পূর্ব পাশে কিছু ইটের সলিং থাকলেও তা কোনো পূর্ণাঙ্গ সড়ক নয়। সেতুর আশপাশে কয়েকটি বক্স কালভার্টও নির্মিত হয়েছে, কিন্তু সেগুলোর নিচেও নেই কোনো খাল।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নলছিটি উপজেলা কার্যালয় সূত্র জানায়, বিজেপি প্রকল্পের আওতায় শিমুলতলা বাজার থেকে মানপাশা পর্যন্ত রাস্তা ও অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ৪ কোটি ৪৭ লাখ ৯৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০১৯ সালের মে মাসে কাজ শুরু হয় এবং ২০২০ সালের জুনে তা শেষ হওয়ার কথা ছিল। 
মহিউদ্দিন আহমেদ নামে এক ঠিকাদার এই প্রকল্পের দায়িত্বে ছিলেন এবং তিনি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলনকে সাব-ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ দেন।

তবে কাজের সময়সীমা পার হয়ে গেলেও এখনো রাস্তা নির্মিত হয়নি, পড়ে আছে শুধু অব্যবহৃত সেতু ও কালভার্টগুলো।

এ বিষয়ে নলছিটি উপজেলার এলজিইডির দায়িত্বরত প্রকৌশলী ইকবাল কবির জানান, ‘আমি যোগদানের আগেই এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে এটি আরেকটি প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন পেলে রাস্তার কাজ শুরু হতে পারে।’

স্থানীয়দের প্রশ্ন, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় নির্মিত এইসব অবকাঠামো যদি জনগণের উপকারে না আসে, তাহলে এর দায় কে নেবে।
 

একুশে সংবাদ/ঝা.প্র/এ.জে