পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজে ছাত্রদলের নেতাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল পথসভা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতার কুশ পুত্তলিকা দাহ করেছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কলেজের সামনে এসে পথসভা শেষে কুশ পুত্তলিকা দাহ করে।
চলতি মাসের ১২ মে ছাত্রদলের কেন্দ্র থেকে ঘোষিত সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। যেখানে ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে সুবিধাবাদী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের পদায়ন করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ সময়ে কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান হৃদয় বলেন, ‘তাদের সাথে দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের সাথে যোগাযোগ ছিল এবং আমরা যখন ছাত্রদল করতাম তখন তারা ছাত্রলীগ করত তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেয়া হয়েছে। আমরা কখনো পদের জন্য রাজনীতি করি নাই। কিন্তু ছাত্রলীগকে পদ পজিশন দিলে আমরা তা মেনে নিব না। তিনি আরও বলেন, এখানে পকেট কমিটি হয়েছে।
বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণকারী অনেক ছাত্রদল কর্মীর বক্তব্য ছিল, তারা ছাত্রদলের প্রতি নিজেদের ভালোবাসা প্রকাশ করতে চান। কিন্তু তাদের ওপর নানাভাবে নিপীড়ন করা হচ্ছে। ছাত্রলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে তারা অভিযোগ করেন, ‘আমাদের সংগঠনকে বিভক্ত করা হচ্ছে। আমরা যৌক্তিকভাবে দাবি জানাচ্ছি, আমাদের নেতাদের প্রাপ্য সম্মান ফিরিয়ে দেওয়া হোক।’
সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের কর্মী সাহরিয়ার শেখ বলেন, ‘আমাকে ৫টি মামলা দেওয়া হয়েছে, কেন্দ্রীয় নেতারা নানা ভাবে আমাকে অযথা প্রশ্ন করে বাদ দিয়ে দেয়। আমাকে কোনো মূল্যায়ন করে নাই। আমাদের দাবি সুষ্ঠু তদন্ত করে ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করে কমিটিতে রাখা হোক।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ছাত্রদল কর্মী বলেন বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নেতা রিয়াদের প্রতীকী পুত্তলিকা প্রজ্বালনের মাধ্যমে আমরা আমাদের কষ্ট এবং অসন্তোষ প্রকাশ করছি। আমাদের নেতাদের প্রতি এই বৈরী আচরণকে আমরা কখনও মেনে নেব না।’
কলেজ ছাত্রদলের কর্মী মো. ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, ‘সম্পূর্ণ টাকার বিনিময়ে কমিটি দেওয়া হয়েছে, যারা ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত ছিল তাদেরকে এই কমিটিতে আনা হয়েছে এবং ত্যাগীদেরকে মূল্যায়ন করা হয়নি। আমরা চাই যারা মাঠে ছিল তাদের দিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নতুন কমিটি দেওয়া হোক।’
এদিকে মিছিল ও পথসভা শেষে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা রিয়াদ ইকবালের পুত্তলিকা পোড়ানো হয়।
এ ঘটনার পরে সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের ছাত্রাবাসসহ কলেজের বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রদলের একদল কর্মীরা হামলা চালায়। পরে ছাত্রদলের দুই গুরুপের মধ্যে সংর্ঘষের সৃষ্টি হলে প্রশাসন এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ ঘটনার পর কলেজে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে এবং কলেজ ক্যাম্প্যাসে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা রিয়াদ ইকবালের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
একুশে সংবাদ/পি.প্র/এ.জে