যশোরের কেশবপুরে বিএনপি নেতা দীপঙ্কর ঘোষ তার বিরুদ্ধে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যায় কেশবপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে দীপঙ্কর ঘোষ বলেন, তিনি কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সহধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এবং বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। সম্প্রতি একটি পত্রিকায় ‘কেশবপুরে ধর্মীয়-সামাজিক প্রতিষ্ঠান কব্জায় নিতে মরিয়া বিএনপি নেতা’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর বলে দাবি করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, বিদ্যানন্দকাটি-মঙ্গলকোট পল্লী সংরক্ষণ সংঘ নামে সংগঠনটির নামে ১৯৩৭ সালে দুই একর ৬৪ শতক জমি দান করেছিলেন বিনোদ শংকর ঘোষ। পরবর্তীতে একটি চক্র সেই জমি দখল করে মৎস্য ঘের হিসেবে ব্যবহার করছে। দীপঙ্কর জানান, তিনি হারি নেওয়া এক ব্যক্তিকে জমির ভাড়া পূজা কমিটির কাছে জমা রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন, যাতে বিরোধ নিষ্পত্তির পর প্রকৃত মালিক টাকা পায়। অথচ এই ঘটনার জেরে তাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার অপচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ তার।
তিনি বলেন, সংগঠনের কোনো সম্পত্তি জবরদখলের চেষ্টা করেননি বা বিএনপির প্রভাব দেখিয়ে সুবিধা নেননি। সেই সঙ্গে একটি সরকারি পুকুর দখলের অভিযোগও মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে দীপঙ্কর ঘোষ মিথ্যা সংবাদ ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। এ সময় তার সঙ্গে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/য.প্র/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :