গাজীপুরের কালীগঞ্জে রবি মৌসুমে সমলয় চাষাবাদের আওতায় কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন দিয়ে জমির ধান কাটা হচ্ছে। কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বোরো ধানের উফসী জাতের (ব্রিধান-৯২) আবাদ করা হয়েছে। এ মেশিন দিয়ে ধান কাটার জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। কারণ এতে কৃষকের বাড়তি মজুরি সাশ্রয় হচ্ছে।
আজ সোমবার (৫ মে) উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চুপাইর গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন দিয়ে জমির ধান কাটার চিত্র। সমলয় চাষাবাদের আওতায় দিগন্তজুড়ে বিস্তৃত বোরো ধানের সমারোহ। হারভেস্টার মেশিনে ধান কাটছেন কৃষকরা। এতে করে সময় এবং খরচ দুটিই সাশ্রয় হচ্ছে।
স্থানীয় কৃষক মো. কামরুল দেওয়ান জানান, আগে শ্রমিক দিয়ে ধান কাটাতাম। এতে প্রতি বিঘায় দশজন শ্রমিক প্রয়োজন হতো। হারভেস্টার মেশিনে ধান কাটতে আমরা বেশ উপকৃত হচ্ছি। বিঘা প্রতি প্রায় ৩ হাজার টাকার মতো সাশ্রয় হচ্ছে।
হারভেস্টার মেশিনচালক মো. শরিফ জানান, প্রতি একর জমির ধান মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে কাটা, মাড়াই ও বস্তাবন্দি করা সম্ভব হচ্ছে। এতে কৃষকরাও উপকৃত হচ্ছেন এবং যারা মেশিন চালাচ্ছি তারাও উপকৃত হচ্ছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার ফারজানা তাসলিম প্রতিবেদককে বলেন, হারভেস্টার মেশিনে ধান কাটার ফলে কৃষকরা অতিরিক্ত মজুরি থেকে কৃষক লাভবান হচ্ছেন। তাছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধান কাটলে কৃষকরা লোকসানের হাত থেকে রক্ষা পাবে।
গাজীপুর কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম খান মুঠোফোনে প্রতিবেদককে জানান, বোরো ধান কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে কর্তন শুরু হয়েছে। যন্ত্রের মাধ্যমে ধান রোপণ, কাটা ও মাড়াই করার সম্মুখ ধারণা কৃষকের মাঝে পৌঁছে দিতে কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।
উল্লেখ যে, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বোরো ধানের উফসী জাতের (ব্রিধান-৯২) সমলয় চাষাবাদে ৫০ একর জমিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ করা হয়েছিল ।
একুশে সংবাদ/গা.প্র/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :