নরসিংদীর রায়পুরায় এসএসসি পরীক্ষার্থী রাজন শিকদার হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইউপি মেম্বার আশরাফুর রহমানসহ জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে থানা প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেছে নিহতের সহপাঠী, শিক্ষক ও পরিবারের সদস্যরা।
রবিবার (৪ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে রায়পুরা থানা প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচী পালন করেন তারা।
বক্তারা বলেন, রাজন শিকদার ছিলেন একজন মেধাবী শিক্ষার্থী। চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল সে। কিন্তু তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্রে করে পাড়াতলী ইউপি মেম্বারের নেতৃত্বে তার লোকজন রাজনকে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। ঘটনার পর ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করা হলেও একজনকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এ সময় প্রধান আসামি ইউপি মেম্বারসহ জড়িতদের দ্রæত গ্রেপ্তার দাবি এবং কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন- সায়দাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কামরুজ্জামান, সহকারী শিক্ষক শাম্মী আখতার, নিহত রাজন শিকদারে ভাই রাসেল মিয়া, আল আমিন চৌধুরীসহ সায়দাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
জানা যায়, গত ২৭ এপ্রিল এসএসসি পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরেন রাজন শিকদার। বিকেলে সহপাঠীদের সঙ্গে আলীনগর বাজার মোড়ে কেরাম খেলছিলেন তিনি। এ সময় একই ইউনিয়নের মধ্যনগরের জাহাঙ্গীর ও তার লোকজনের সঙ্গে ঝগড়া হয় বাঁশগাড়ী এলাকার এক অটোরিকশা চালকের। ঝগড়া থামাতে এগিয়ে আসেন রাজনসহ আশপাশের লোকজন। পরিস্থিতি শান্ত হলে অটোরিকশা চালককে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। কিন্তু জাহাঙ্গীর বিষয়টি সহজভাবে নেয়নি। সন্ধ্যায় তার আত্মীয় পাড়াতলী ইউপি মেম্বার আশরাফুর রহমানের নেতৃত্বে দলবল নিয়ে আলীনগর বাজারে একটি দোকানে হামলা চালায়। সেখানে রাজনকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। হামলায় গুরুতর আহত রাজনকে প্রথমে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দিয়ে পরে ঢাকা মেডিক্যালে নেওয়া হয়। সেখানে ২ এপ্রিল আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় গতকাল শনিবার ইউপি মেম্বার আশরাফুর রহমানসহ ১৬ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা ফজলু মিয়া।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আদিল মাহমুদ জানান, নিহতের সহপাঠীরা থানা প্রাঙ্গণে এসে রাজন হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে। তাদের সাথে আমার আলাপ হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে। দ্রত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হবে।
একুশে সংবাদ/ন.প্র/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :