AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সাতাশ বছর পর কোটচাঁদপুরে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক ভ্যাকসিন, স্বস্তিতে সাধারণ মানুষ


Ekushey Sangbad
সুব্রত কুমার, কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ
০২:২৭ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪
সাতাশ বছর পর কোটচাঁদপুরে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক ভ্যাকসিন, স্বস্তিতে সাধারণ মানুষ

এখন থেকে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাওয়া যাবে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক (এন্টিবায়োটিক রাবিক্স) ভ্যাকসিন। এতে করে সাতাশ বছর পর ভোগান্তি কমলো সাধারণ মানুষের। এদিকে এই ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আমানুল্লাহ আল মামুন। 

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, ছয়টি পশুর কামড়ে জলাতঙ্ক রোগ হওয়ার সম্ভবনা থাকে। যার মধ্যে রয়েছে কুকুর, শেয়াল, বিড়াল, বানর, বাদুর, বেজি। এ কারণে নেয়া হয় জলাতঙ্কের প্রতিষেধক (এন্টিবায়োটিক রাবিক্স) ভ্যাকসিন। যা কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার সাতাশ বছরেও এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাওয়া যায়নি। যে কারনে ওই সব পশুতে কামড় দিলে ভ্যাকসিন পেতে ভোগান্তি পোহাতে হত মানুষের। কখনও ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল। 

আবার কখনও বাইরের ঔষধের দোকান থেকে কিনতে হত ভ্যাকসিন। যা অনেকের পক্ষে অসম্ভব ছিল। সম্প্রতি কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাওয়া যাচ্ছে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক ( এন্টিবায়োটিক রাবিক্স) ভ্যাকসিন। যা দেয়া হবে সপ্তাহে দুই দিন রবিবার ও বুধবার। এই ভ্যাকসিন পেতে ওই দিন যোগাযোগ করতে হবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১২ নাম্বার কক্ষে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভ্যাকসিন প্রাপ্তির খবরে স্বস্তি ফিরেছে মানুষের মাঝে। তারা জানিয়েছেন, ১৯৭৭ সালে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সে থেকে আজ পর্যন্ত আমরা এই ভ্যাকসিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পায়নি। 

ভুক্তভোগীরা বলেন, এর আগে এই ভ্যাকসিন কোটচাঁদপুর পৌরসভা থেকে দেয়া হত। তবে সেটা ছিল খুবই কম। কুকুরে কামড় দিলে এই ভ্যাকসিন নিতে যেতে হত ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে। আর তা না  হলে কিনতে হত বাইরের ঔষধের দোকান থেকে। এখন থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন পাওয়া গেলে ভোগান্তি কমবে মানুষের। সাথে সাথে বাঁচবে আর্থিক ক্ষতি ও। এই ভ্যাকসিন সরবরাহ অব্যহত রাখতে ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আমানুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রথম চালানে  আমরা  দুইশ ভায়েল পেয়েছি। এই ভ্যাকসিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১১২ নাম্বার কক্ষে সপ্তাহে রবিবার ও বুধবার দেয়া হবে। 

তিনি বলেন, সাপের ভ্যাকসিন আগে থেকে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাওয়া যেত। তাঁর সঙ্গে যোগ হয়েছে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক (এন্টিবায়োটিক রাবিক্স) ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিন  ছয় ধরনের পশুর কামড়ের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যার মধ্যে কুকুর, শেয়াল, বিড়াল, বানর, বাদুর, বেজি। তিনি আরো বলেন,কোটচাঁদপুর মানুষের গর্বের প্রতিষ্ঠান দুইটি। একটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। অন্যটি বলুহর বাওড়। আমরা এই দুইটি প্রতিষ্ঠানকে খুবই যত্ন সহকারে রাখবো। 

পশুতে কামড় দেয়ার কত ঘন্টা পর ভ্যাকসিন দেয়ার নিয়ম,এমন প্রশ্ন তিনি বলেন, এটা নিয়ে অনেক মতামত আছে। তবে  কামড় দেয়ার ৭২ ঘন্টার মধ্যে ভ্যাকসিনটি নিতে পারলে অনেকটা সেভ বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!