মৌলভীবাজারের বড়লেখায় সাবেক পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ -যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের ৩৮ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
৯ বছর পর বিএনপির মিছিলে হামলার অভিযোগে মৌলভীবাজারে সাবেক পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেন নুরুল ইসলাম তাফাদার নামে এক যুবদল নেতা। মামলায় আরও ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উপজেলা আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের যেসব নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন- সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ ও আজির উদ্দিন, সাবেক পৌর মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী, অধ্যক্ষ এ.কে.এম হেলাল উদ্দিন, সদর ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিন, এস এম জাকির হোসেন, সাদ্দাম হোসেন, পৌর কাউন্সিলর আবুল হাশিম স্বপন, মান্না মিয়া, সুমন আহমদ, ফরহাদ হোসেন, জুনায়েদ আহমদ, এমরান আহমদ, ছয়দুল ইসলাম, মুমিনুল হক টনি, আলী হোসেন, আলী, জসিম উদ্দিন, হাসান আহমদ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন, কবির আহমদ, ইসলাম উদ্দিন, সুরমান আলী, রিপন আহমদ, ছমর উদ্দিন, বাবু মিয়া, সুমন আহমদ, কামাল আহমদ, জালাল আহমদ, ইয়াছিন আলী, অ্যাডভোকেট গোপাল দত্ত, পরাগ আহমদ, এমদাদুল হক সজল, রিফাত আহমদ, ইমাম উদ্দিন ও ফয়ছল আহমদ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপির নেতাকর্মীদের গুম, খুন ও নির্যাতনের প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি গণহত্যা দিবস ও কালো পতাকা মিছিল চলাকালে বড়লেখা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বড়লেখা পৌরশহরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির নেতাকর্মীদের হুমকি দেন। হুমকি উপেক্ষা করে তারা রেলওয়ে যুবসংঘ মাঠের পাশে শান্তিপূর্ণভাবে কালো পতাকা মিছিলের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। এ সময় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন। ওই সময় পৌর যুবদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম তাফাদারকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
বড়লেখা থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, মামলার কোনো আসামিকে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :