কোটা সংস্কারের দাবিতে বরিশালে দফায় দফায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়ে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬৯ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে পুলিশ, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও পথচারী রয়েছে।
এদিকে বরিশালের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের নিক্ষিপ্ত ইটের আঘাতে গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন মহানগরের উপ-পুলিশ কমিশনার আলী আশরাফ ভুঞা ও অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার ফজলুল করিম। এছাড়াও আন্দোলনকারীদের মারধরে ও নিক্ষিপ্ত ইটে আরও দুই সাংবাদিক আহত
হয়েছেন।
বুধবার (১৭ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে বরিশাল নগরীর হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা, নথুল্লাবাদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শুরু হওয়া শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, অগ্নিসংযোগ, টিয়ারসেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।
বরিশাল মহানগর পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির বলেন, ‘নগরীর নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালের সামনে সড়কে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটনা ঘটে। এ সময় শিক্ষার্থীদের নিক্ষিপ্ত ইট এসে উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিন) আলী আশরাফ ভুঞার মুখের ওপর আঘাত করে। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন তিনি। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার ফজলুল করিম। বর্তমানে বরিশালে চিকিৎসা চলছে। তিনি আরও জানান, শিক্ষার্থীদের হামলায় তাদের আরও অন্তত ৭/৮ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বেলা ১১টায় বরিশাল নগরীর সরকারী সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এছাড়াও একই সময়ে নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের সামনে অবস্থান নেয় সরকারি বিএম কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। পৌনে ১টার দিকে সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের সামনে দিয়ে এক পুলিশ সদস্য মোটর সাইকেলে যাবার সময় শিক্ষার্থীরা তাকে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। তখন পুলিশ এসে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ শুরু করে। এ সময় পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ