পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ায় যাত্রীবাহী ৩টি বাস থেকে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির সাড়ে ২৬ মন সামুদ্রিক মাছ জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। এতে তিন বাসের চালককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সমুদ্রে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মহীপুর, আলীপুর, কুয়াকাটা মৎস্য ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট বেপরোয়া।
বৃহস্পতিবার (৫ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টায় শেখ কামাল সেতুর টোল প্লাজায় এ অভিযান পরিচালনা করে পরিবহন থেকে এসব মাছ জব্দ করেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহম্মেদ।
এসময় অবৈধভাবে মাছ পরিবহনের দায়ে ৩ বাসের চালককে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জব্দকৃত মাছ বিভিন্ন এতিমখানা ও হতদরিদ্র মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়। এসময় সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা ও থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযান সুত্রে জানা যায়, ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহম্মেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আব্বাস, অন্তরা ও মীমজাল পরিবহন থেকে ২০০ কেজি ইলিশ, ২০০ কেজি পোয়া, ১৮০ কেজি ডাডি ও ৪৮০ কেজি লইট্যা মাছ জব্দ করা হয়।
এব্যপারে সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গরা বলেন, প্রতিবছর সরকার ছাবছিডারি দিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। জেলেদের ভিজিএফ চাল সঠিক ভাবে বন্টন হলে হয়তো ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় গভীর সমুদ্রে যেত না তারা। আর তখন সমুদ্রের মাছ ধরাও পরতোনা। বেচে যেত ছোটবড় বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ। দেশের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হতো। মাছের ঘাড়তি লাঘব হতো। তাই আমাদের জেলেদের ন্যায্য পাওনা যাতে সঠিক ভাবে পৌঁছে দেওয়া হয় সে ব্যপারে খেয়াল নেয়া দরকার। এবং অসাধু মৎস আড়ৎগুলোকে জরিমানার আওতায় আনা দরকার বলে মনে করেন তারা।
তবে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও সমুদ্র থেকে এসব মাছ শিকার করছে কিছু অসাদু জেলেরা ও কুয়াকাটা, মহিপুর, আলীপুর মৎস্য ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেট।
একুশে সংবাদ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :