বরগুনার আমতলীতে নিত্যপণ্যের পাশাপাশি সবজির দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সরবরাহ কমায় নতুন করে বেড়েছ কাঁচা মরিচ সহ বিভিন্ন সবজির দাম। বুধবার (৩ জুলাই) আমতলীর নতুন বাজার একেস্কুল ও গাজীপুর বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, করোলা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা করে, যা ২ দিন আগে ছিলো ১০০ টাকা। এভাবে বেশিরভাগ সবজির দাম ই বেড়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায, বেগুন প্রতি কেজি ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে যা দুইদিন আগেও ছিলো ৮০ টাকা, শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে যা আগে ছিলো ৬০ টাকা এবং পেঁপে কেজি প্রতি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে যা এক সপ্তাহ আগেও ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হতো। লাউ প্রতি পিস ৭০ থেকে ১০০ টাকা, কাকরোল ৭০ টাকা কেজি, পটল ৬০ টাকা কেজি, ঢেড়স ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা, যা ১ দিন আগেও কেজি ছিল ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা। এছাড়া বাজারে কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা দরে।
এছাড়াও, বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কমেনি। বুধবার প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৩০ টাকা। বাজার করতে আসা শাওন নামের নামে এক ক্রেতা বলেন, সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় খুব কষ্টে আছি।
তালুকদার বাজার এলাকা থেকে পরিবারের জন্য বাজার করতে আসা সজিব মিয়া বলেন, ছোট একটা চাকরি করি। বাসা ভাড়া, বাচ্চাদের পড়ালেখা, চিকিৎসার পেছনেই অনেক টাকা চলে যায়। এদিকে বাজার করতে এসে দেখি সব কিছুর দাম বাড়তি। কোনটা কিনবো ভেবে পাচ্ছি না। এত অল্প বেতনে কিভাবে সামাল দিবো পুরো মাসের খরচ। এদিকে বৃষ্টির কারণে সবজির সরবরাহ কম হওয়ায় সংকট তৈরী হয়েছে বলে জানান এই বাজারের ব্যবসায়ীরা।
একেস্কুল বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী হানিফ মিয়া বলেন, টানা কয়েকদিন বৃষ্টির কারণে সবজির চালান আসেনি। এ কারণে সবজির দাম বাড়তি। তবে, বৃষ্টি কমলে দাম কিছুটা কমতে পারে।
এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমান আদালতের বিজ্ঞবিচারক মোহাম্মাদ আশরাফুল আলম বলেন অনিয়মের সত্যতা পাওয়াগেলে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :